নিজস্ব প্রতিবেদক: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে কলেজ ছাত্র শাহাবুলকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নে। ১৬ জুলাই ছাত্রীটিকে ধর্ষণের অভিযোগে মহম্মদপুর থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। অভিযুক্ত শাহাবুল ইসলাম মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কলেজ ছাত্র শাহাবুলের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর ধারাবাহিকতায় তাদের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক হয় ও মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে, মেয়েটির পরিবার শাহাবুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে।
৮ জুলাই ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নহাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা সিদ্দিকি ওরফে লিটনের কাছে যান ওই কিশোরীর চাচা। দুই দিন পর ১০ জুলাই ভুক্তভোগী পরিবারের বাড়ির পাশে একটি জায়গায় সালিস বসানো হয়। মোস্তফা সিদ্দিকির নেতৃত্বে ওই সালিসে শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সালিসে বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগে ভুক্তভোগী পরিবারকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে টাকা পরিশোধের জন্য ১০ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ছয় মাসের জন্য পরিবারটিকে সমাজচ্যুত করেন সালিসকারীরা। সেই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে না যাওয়ার জন্যও পরিবারটিকে হুমকি দেওয়া হয়।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, সালিসে দাবি করা কথিত জরিমানার টাকা তাঁরা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বাড়িতে চড়াও হন নেতারা। গতকাল সকালে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে যায় নহাটা ইউনিয়নের সাবেক সদস্য ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন। তাঁরা বাড়ি থেকে একটি গরু, চারটি ছাগল, একটি সাইকেল, ভ্যান, শ্যালো মেশিনসহ বেশ কিছু জিনিস ছিনিয়ে নিয়ে যান তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ ছিনিয়ে নেওয়া অধিকাংশ মালামাল উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় পরিবারটি একটি মামলা করেছে জানিয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস বলেন, ওই মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা সিদ্দিকি, ওবায়দুর রহমানসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।