নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আজ ১২ মার্চ বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস। এ উপলক্ষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ, চলবে ১৮ মার্চ পর্যন্ত। জনসাধারণকে গ্লুকোমা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য এই সপ্তাহ পালিত হবে। এবারের শ্লোগান: ‘পরিহার যোগ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধ করি’।
বাংলাদেশ চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা জানান, সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে পারলে গ্লুকোমা প্রতিরোধ করা যায় এবং এ রোগ নিয়ে সারা জীবন ভালো থাকা যায়।
এ ইন্সটিটিউটের গ্লুকোমা বিভাগের প্রধান ডা. ইফতেখার মনির বলেন, গ্লুকোমা সপ্তাহে বিনামূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ চিকিৎসা প্রদান সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৭ কোটি মানুষ এই রোগে ভুগছে। বাংলাদেশে জরিপে দেখা গেছে, আমাদের দেশের অন্ধত্বের শতকরা ১.২ ভাগ গ্লুকোমা রোগী এবং শতকরা ২.৮ ভাগ মানুষ গ্লুকোমা রোগে ভুগছে।
গ্লুকোমা চোখের একটি জটিল রোগ। এই রোগকে নিরব ঘাতক বলা হয়। চোখের অভ্যন্তরীণ উচ্চ চাপই এই রোগের প্রধান কারণ, যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে চোখের স্বাভাবিক চাপেও এই রোগ হয়ে থাকে। চোখের এই অভ্যন্তরীণ চাপ চোখের অতি সংবেদনশীল অপটিক নার্ভ, যার মাধ্যমে চোখ মস্তিষ্কের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তাকে চিরতরে নষ্ট করে দেয়, ফলে মানুষ অন্ধত্ব বরণ করে। গ্লুকোমা রোগ যেকোনো মানুষের যেকোনো বয়সে হতে পারে, তবে ৪০ বছর বয়সের পরে এই রোগের সম্ভাবনা বেশি। এ রোগ প্রতিরোধে সচেতনার বিকল্প নেই।