নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানীর উত্তরায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আরও তিনজন। জবানবন্দিতে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। আসামিরা হলেন ইমন ওরফে মিলন, সানোয়ার হোসেন ও বদরুল আলম।
দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেকের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন জানান। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তারা তিনজনই সরাসরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আকাশ আহম্মেদ বাবুলসহ চারজন ব্যাংকটির সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম ও নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি দেয়া অপর তিনজন হলো: সাগর মাতুব্বর, মিজানুর রহমান ও সোনা মিয়া।
এর আগে, ১২ মার্চ সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ডিবি পুলিশের মিরপুর জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর সাজু মিয়া আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ মার্চ সকালে রাজধানীর উত্তরা থেকে বেসরকারি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া চারটি বক্সের মধ্যে তিনটি বক্স উদ্ধার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঘটনার দিন রাতেই মানি প্ল্যান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে তুরাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়। ছিনতাই হওয়া সোয়া ১১ কোটি টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৭ কোটি ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।