আর্থিক সংকট ডায়ালাইসিস নিতে পারেনা

আর্থিক সংকট ডায়ালাইসিস নিতে পারেনা

নিজস্ব প্ররতিবেদকঃ

বাংলাদেশের প্রায় ১৭ শতাংশ মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্ত। ২০২০ সালে ১৮ হাজার ৯০০ জন রোগী নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিচ্ছিলেন। তবে, ৮০ শতাংশের কিডনি রোগী আর্থিক সংকটে ডায়ালাইসিস সেবা নিতে পারছেন না। ফলে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে পড়েছেন তারা।

গত (৭ মার্চ) রাজধানীর শ্যামলীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ। বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে এ বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন।

ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, ২০২০ সালে ১৮ হাজার ৯০০ জন রোগী নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিচ্ছিলেন। প্রতিবছর এর সঙ্গে ১ হাজার জন যোগ হয়। এ সংখ্যা মোট আক্রান্তের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এছাড়া বাকি কিডনি রোগে আক্রান্ত ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ ডায়ালাইসিস নিতে পারেন না। তার মানে নিশ্চিত মৃত্যু। বাংলাদেশে এত মানুষকে ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়াও সম্ভব না। সবাইকে এ সেবার আওতায় নিতে স্বাস্থ্যসেবায় আরও ৫ গুন বেশি বাজেট প্রয়োজন হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতে এ পর্যন্ত ৩৮ টি কিডনি প্রতিস্থাপন (ট্রান্সপ্লান্ট) হয়েছে। চলতি বছরে প্রতিস্থাপন হয়েছে সাতটি।

কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসকরা জানান, এ হাসপাতাল সব পরীক্ষা না হওয়ায় খরচ কিছুটা বেড়ে যায়। তবে, সর্বমোট ১ লাখ টাকা নিয়ে এলে কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব। এতে কিডনি প্রতিস্থাপনসহ ১৪ দিন পর্যন্ত সেবাটা দিতে পারে হাসপাতাল। অনেক ওষুধের সাপ্লাই না থাকায় কিছু টাকা খরচ বাড়ে। ১৪ দিন পর ওষুধের জন্য রোগীকে নতুন করে অর্থ খরচ করতে হবে।

Loading

পোষ্টটি প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করতে পারেন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!