নিউজ ডেস্ক:
করোনা আর বন্যা মিলে বেশ দুর্দিনে পড়েছেন টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা। এখন আর আগে মতো পাইকারদের দেখা মেলে না জেলার বাজিতপুর শাড়ি কাপড়ের হাটে। এ কারণে প্রতিটি শাড়ি-কাপড় বিক্রি করতে হচ্ছে উৎপাদন খরচের চেয়ে ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা কমে।
এতে প্রতিটি কাপড় বিক্রি করেই লোকসান গুনতে হচ্ছে তাঁতীদের। একইভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ইজারাদার ও দোকান মালিকরা।
দীর্ঘদিনের করোনা পরিস্থিতি আর সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় টাঙ্গাইলের তাঁত শাড়ির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যায় তাঁত পল্লীর বেশিরভাগ ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে লাখ লাখ টাকার উৎপাদিত শাড়ি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তাঁতী ও ব্যবসায়ীরা।
দোকানিরা জানান, তাদের ব্যবসা ব্যাপক খারাপ যাচ্ছে। এর প্রভাবে তাঁতীদেরও খারাপ অবস্থা যাচ্ছে।
এ অবস্থায় নতুন করে বাজিতপুরে শাড়ি কাপড়ের হাট বসলেও দূর দূরান্তের ক্রেতার দেখা মিলছে না। প্রতিটি কাপড় উৎপাদন খরচের চাইতে ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা কম দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজিতপুর কাপড় হাটের ইজারাদার জিয়ারত হোসেন বলেন, হাটে বেচাকেনা কমে যাওয়ায় তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অবস্থার উত্তরণে সরকারের দেয়া প্রণোদনা চান তারা।
করোনা পরিস্থিতির আগে প্রতিটি হাটে ২শ’ থেকে ৩শ’ কোটি টাকার শাড়ি বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫০ লাখ টাকার।