ধর্ম ডেস্ক:
পবিত্র কাবা শরিফ জমজমের পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। খাদেমুল হারামাইন ওয়াশ শরিফাইন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ-এর পক্ষে পবিত্র নগরী মক্কার গভর্নর প্রিন্স খালেদ আল ফয়সালের নেতৃত্বে ১৪৪২ হিজরি বছর পবিত্র কাবা ধোয়া তথা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অনুষ্ঠান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়ার কাজের তদারকিতে অংশগ্রহণ করেন, দুই পবিত্র মসজিদের প্রধান খতিব শায়খ ড. আব্দুর রহমান আস-সুদাইসি, স্পেশাল ইমারর্জেন্সি ফোর্সের কমান্ডার ও হজ সিকিউরিটি ফোর্সের কমান্ডার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
অন্যান্য সময় কাবা শরিফ ধোয়ার কাজে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হলেও এবার মহামারি করোনার কারণে অন্যদেশের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
মাগরিবের নামাজের পর পরই পবিত্র কাবা শরিফের দরজায় বিশেষ সিঁড়ি লাগানো হয়। এর আগে কাবা শরিফের গিলাফ, দরজা ও সিঁড়িতে বিশেষ জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। তারপর খোলা হয় পবিত্র কাবা শরিফের দরজা।
এ দিন সন্ধ্যায় ভারি বৃষ্টি শুরু হওয়ার কারণে কাবা শরিফ ধোয়ার কাজ কিছুটা বিলম্ব হয়। পরে কাবা শরিফ পরিচ্ছন্ন করতে আসা সব ব্যক্তিবর্গই পবিত্র কাবা শরিফে ইশার নামাজ আদায় করেন। এ সময় আগতদের বরকতময় জমজমের পানি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
বৃষ্টি থামলেই সবাই পবিত্র কাবা শরিফের ভেতরে প্রবেশ করেন। জমজমের পানির সঙ্গে গোলাপ, উন্নতমানের সুগন্ধি উদ ও কস্তুরি মিশ্রিত পানি দিয়ে পবিত্র কাবা ঘরের অভ্যন্তরে ধোয়া-মোছার কাজ করেন। এ সময় কাবা শরিফের দরজা প্রায় দুই ঘণ্টা খোলা থাকে। মক্কার গভর্নর খালেদ আল-ফয়সাল এ কাজের উদ্বোধন করেন।
এ সময় কাবা শরিফের চারদিকে বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রাখেন। পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়ার কাজে অংশগ্রহণকারীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ সম্পন্ন করার পর হাজরে আসওয়াদে (কালো পাথর) চুম্বন করেন। অতপর কাবা তাওয়াফ করেন। তাওয়াফ শেষে মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করেন।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ৯ জিলহজ আরাফার দিনে কাবা শরিফের গিলাফ পরানো হয়। আর মহররম মাসের পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়া হয়।