নিউজ ডেস্কঃ
মহামারী আর ইউক্রেইন যুদ্ধের পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে অস্থিরতায় গত বছরের রেকর্ড মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে, এতে গ্রামের চেয়ে বেশি ভুগেছে শহরের মানুষ। সেইসঙ্গে খাবারের চেয়ে জীবন চালানোর অন্যান্য খাতে মানুষের খরচ বেড়েছে বেশি।
গতকাল ক্যাবের পক্ষ থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গত বছরের মূল্যস্ফীতি নিয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যের বরাতে তিনি বলেন, ২০১১ সালের পর ২০২২ সালে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়। এর প্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছে রাজধানী ঢাকায় সাধারণ মানুষের কেনাকাটায়।
ক্যাবের প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ সাল জুড়ে গড় মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৮ শতাংশ, খাদ্যপণ্যে যা ছিল ১০ দশমিক ৩ শতাংশ আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ। দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের বেলায় এই মূল্যস্ফীতির হার গড়ে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ।
মাহফুজ কবির বলেন, মেগাসিটিতে খাদ্য পণ্যের চেয়ে বিভিন্ন খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি মধ্যবিত্তদের বেশি নাকাল করেছে। গ্রামাঞ্চলে সামাজিক সুরক্ষাবেষ্টনী এবং ওএমএস চালু থাকায় মূল্যস্ফীতির প্রভাব কম পড়েছে।
বিদ্যুৎ, সাবান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসামগ্রী, মশার কয়েল, স্প্রে, পোশাক, জুতার মতো খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের দাম বৃদ্ধি, সেইসঙ্গে চাল, আটা, ডাল, বেকারি পণ্য, চিনি, মাছ, ডিম, দেশি মুরগি, ভোজ্য তেল, আমদানিকৃত ফল, চা-কফি, স্থানীয় এবং আমদানিকৃত দুধ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে বাড়তি পরিবহন খরচকে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কোভিড পরবর্তী ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তা ও মন্দাভাবের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ ভেঙে পড়া, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস, ডলারের বিপরীতে টাকার উচ্চ অবমূল্যায়ন মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণ। এছাড়া মন্দার আশঙ্কায় সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস ও এলসি মার্জিন বাড়ানো এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রবর্তনের মাধ্যমে বিলাসপণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করার মতো বিষয়গুলোও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণ।
“এসব কারণে আমদানিকৃত কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য এবং মূলধনী যন্ত্রপাতির দাম বেড়েছে; সেইসঙ্গে জ্বালানির উচ্চ মূল্য এবং বিদ্যুতের রেশনিং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, আমদানিকৃত জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলে পরিবহন ও বিপণন ব্যয় বেড়েছে। এসব কারণে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ঘটেছে।”
মাহফুজ কবির বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর তুলনায় শহুরে জনগোষ্ঠী মূল্যস্ফীতির কারণে বেশি চাপ ও অসহায়ত্ব দেখেছে। তাই সামাজিক সুরক্ষা জোরদার করার মাধ্যমে শহুরে নিম্ন আয়ের মানুষের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
“এছাড়া শহুরে নিম্ন-মধ্য এবং মধ্যম আয়ের পরিবারের জন্য বিশেষ সামাজিক সুরক্ষা স্কিম তৈরি করা উচিত, যাতে তারা সফলভাবে মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কোভিড পরবর্তী ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তা ও মন্দাভাবের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ ভেঙে পড়া, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস, ডলারের বিপরীতে টাকার উচ্চ অবমূল্যায়ন মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণ। এছাড়া মন্দার আশঙ্কায় সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস ও এলসি মার্জিন বাড়ানো এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রবর্তনের মাধ্যমে বিলাসপণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করার মতো বিষয়গুলোও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণ।
“এসব কারণে আমদানিকৃত কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য এবং মূলধনী যন্ত্রপাতির দাম বেড়েছে; সেইসঙ্গে জ্বালানির উচ্চ মূল্য এবং বিদ্যুতের রেশনিং উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, আমদানিকৃত জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলে পরিবহন ও বিপণন ব্যয় বেড়েছে। এসব কারণে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ঘটেছে।”
মাহফুজ কবির বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর তুলনায় শহুরে জনগোষ্ঠী মূল্যস্ফীতির কারণে বেশি চাপ ও অসহায়ত্ব দেখেছে। তাই সামাজিক সুরক্ষা জোরদার করার মাধ্যমে শহুরে নিম্ন আয়ের মানুষের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
“এছাড়া শহুরে নিম্ন-মধ্য এবং মধ্যম আয়ের পরিবারের জন্য বিশেষ সামাজিক সুরক্ষা স্কিম তৈরি করা উচিত, যাতে তারা সফলভাবে মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়।”