নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করতে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন রাজধানীর ভাটারা থেকে গ্রেপ্তার জামায়াতে ইসলামীর আট নেতাকর্মী। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। শনিবার ওই মামলায় তাঁদের রিমান্ডে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
তাঁদের মধ্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর সাতজনের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। তাঁরা হলেন– জামায়াতের মহানগর মজলিসে শূরা সদস্য আবুল বাশার, কুমিল্লা জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ, সমর্থক আনোয়ারুল হক, শিব্বির আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, মাহবুব আলী ও ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাকিম সরকার।
ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার রিফাত রহমান শামীম সমকালকে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার ভাটারার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে জামায়াতের আট নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের নাশকতার পরিকল্পনার ব্যাপারে জানার চেষ্টা চলছে।
আদালত সূত্র জানায়, শনিবার আসামিদের আদালতে হাজির করে সেলিমের ১০ দিন এবং অপর সাত আসামির বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক সমীর চন্দ্র সূত্রধর। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সেলিমের পাঁচ দিন এবং অপর সাতজনের দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদী।
এদিকে শুক্রবার রাতে জামায়াতের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৪ নেতাকর্মীকে আটকের দাবি করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘আর্থসামাজিক উন্নয়নে জাকাতের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা ও বিশিষ্টজনের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বসুন্ধরা সাংগঠনিক থানা। সেখান থেকেই নেতাকর্মীকে আটক করে ডিবি।