রাসেল আল জোবায়েরঃ
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধূঁর শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মানবতার শত্রু প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
শোকাবহ আগস্টে যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও ভাবগম্ভীর আর বেদনাবিধূঁর পরিবেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করছে গুলশান থানা ছাত্রলীগ।
আজ সকালে গুলশান-২ ডি.এন.সি.সি মার্কেটের মাঠে করোনা মহামারীর সংক্রমণ রোধে যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে গুলশান থানা ছাত্রলীগের উদ্যোগে মিলাদ মাহ্ফিল ও খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
গুলশান থানা ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত মিলাদ মাহফিল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সায়েদুর রহমান হৃদয়।আরো উপস্থিত ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মানিক হোসেন ও গুলশান থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী রিয়াদ সহ আওয়ামীলীগ,যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ,এবং ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দগন।
গুলশান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তফা হোসেন হেলাল বলেন ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমরা গুলশান থানা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আজকের এই মিলাদ মাহফিল ও দুআ অনুষ্ঠানের আয়োজন করি এবং গরীব-অসহায়, এতিম-মিসকিনের মাঝে খাবার বিতরণ করি।
গুলশান থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহা মিঠুন কুমার সৌরভ বলেন,কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ সিদ্ধির জন্য যেন জাতীয় শোক দিবসের পরিবেশ নষ্ট না হয় এবং চিরায়ত ঐতিহ্য আওয়ামীলীগের মূল্যবোধ যেন ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে সকল’কে সতর্ক থাকতে হবে।