নিউজ ডেস্ক :
কঠিন শরীর চর্চা ছাড়াও ফিট এবং টোনড বডি অর্জন করা যায়। কিছু সহজ টিপস মেনে চললে আপনাকে শরীর চর্চার মত কঠিন পথে যেতে হবে না। চাইলে উপোস, কঠিন ডায়েট ও শরীরচর্চা ছাড়াও ওজন হ্রাস করতে পারবেন আপনি।
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। যুগ যুগ ধরে এ কথার ব্যাত্তি কেউ ঘটাতে পারেন নি। আর তাই নিজের শরীরকে একটু আকর্ষণীয় করে তুলতে সবাই যেন ছুটে চলে জিমের পিছু পিছু। আর জিমে গিয়ে বডি বানাতে গেলেই আপনার লাগবে সাপ্লিমেন্ট।
পাঠকদের জন্য এ সংক্রান্ত কিছু টিপস নিচে তুলে ধরা হলো:-
১. চিবিয়ে খাবার খান। খাবার মুখে নিয়ে ভালো করে চিবিয়ে তবেই খাবেন। এতে সহজে হজম হয়। এতে আগে যে খাবারটি খেয়েছেন তা শরীর রেজিস্টার করারও সময় পায়। চিবিয়ে না খেলে ওজন বেড়ে যায়।
২. ছোট প্লেটে খাবার খান। একটা নির্দিষ্ট মাপের পাত্রতে খাওয়ার খাবেন। এতে যদি আপনি কঠিন ডায়েট না করেন, তা সত্ত্বেও শরীর নির্দিষ্ট মানের খাওয়ার পেয়ে সেই মোতাবেক নিজেকে গড়ে তোলে। তাতেই অভ্যস্ত হয়ে ওঠে শরীর।
৩. বসে বসে কাজ করার সময় ছোট খাটো খাবার যেমন চিপস, কোল্ড ড্রিঙ্কস, ভাজাভুজি খাবেন না। টানা ৯ ঘণ্টা বসে কাজ করার সময় যদি আপনি এইরকম খাওয়ার খেতে থাকেন তাহলে ভুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
৪. খাবার খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে পানি খেয়ে নিন। এতে পেট খানিক ভরে থাকে। পানি, খাবার হজম করতে সাহায্য করবে। অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাওয়ারও হজম হয়ে যাবে। শরীরে লাগতে দেবে না।
৫. খালি পেট রাখবেন না। খালি পেটে থাকার পর, হঠাৎ করে অনেকটা খেলে ভুড়ি হয়ে যাবে।
৬. অকারণে চিন্তা, চাপ নেবেন না। কারণ, খাওয়ারের উপর প্রভাব ফেলে। যার ফলে ওজন বাড়তে পারে। এটি কর্টিসল নামক একটি হরমোন ক্ষরণ হয় যা আপনার খিদে বাড়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয় এবং আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়ার দিকে পরিচালিত করতে পারে।
৭. ঘুম না হলে হরমোনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই অবশ্যই ঘুমের জন্য সময় দিন নিজেকে।
৮. জাঙ্ক ফুড থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন।
৯. যদি খিদে পায়, তাহলে পাতি লেবু লঙ্কা দিয়ে ছোলা মেখে খান, মোদ্দা কথা প্রোটিন জাতীয় খাবার খান। এতে খিদেও মিটবে, মুখের স্বাদও বদলাবে কিন্তু মোটা হওয়ার প্রবণতা থাকবে না।
সাপলিমেন্ট ছাড়াও আপনি আকষর্ণী বডি বানাতে পারনে। এছাড়া এই সাপ্লিমেন্ট রয়েছে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তার মানে কি এই যে জিমে গিয়ে নিক্তির মাপে শরীর বানালে ও সাপ্লিমেন্ট খেলে ফিটনেস ও সুস্বাস্থ্যে টান পড়ে?
আসুন দেখা যাক বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন-
# সকালে উঠে পার্কে বা মাঠে হাঁটুন বা দৌড়ান। হাঁটুর অবস্থা বুঝে ২০–৪০ মিনিট। সপ্তাহে ৫–৬ দিন বা অন্তত ৩ দিন। বদ্ধ ঘরে ট্রেডমিলে হাঁটার চেয়ে ঘাস–মাটির উপর হাঁটা শতগুণে ভাল। হাঁটুর ক্ষতি কম হয়।
# কাছাকাছি দূরত্বে যেতে হলে হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে যান।
# একটানা বসে থাকবেন না। মাঝেমধ্যে উঠে দাঁড়ান। একটু হাঁটুন। দিনভর সচল থাকার চেষ্টা করুন।
# হাঁটু–কোমর ঠিক থাকলে স্কিপিং করতে পারেন। করতে পারেন বার্পিস, রক ক্লাইম্বিং, জাম্পিং জ্যাক জাতীয় কার্ডিও ব্যায়াম। এতে সারা শরীরের ব্যায়াম হয়। চর্বি ও ওজন যেমন কমে, পেশিও মজবুত হয়।
# সপ্তাহে ৩–৪ দিন বা শরীরে কুলোলে ৫–৬ দিন ২০–৪০ মিনিট ওজন নিয়ে ব্যায়াম করুন। যেমন, স্কোয়াট, লেগ এক্সটেনশন বা আয়রন শ্যু এক্সারসাইজ, লেগ কার্ল, বারবেল বা ডাম্বেল ওয়েট লিফটিং, বেঞ্চপ্রেস ইত্যাদি৷ বুকডন, লেগ রাইজ, ক্রাঞ্চেস মারুন।
# কীভাবে কোন ব্যায়াম করবেন বা আদৌ করবেন কি না, কতবার করে করবেন, ওজন তুলবেন নাকি বডি ওয়েট ট্রেনিং করবেন, কতটা ওজন তুলবেন, শরীরের প্রতিটি অংশের ব্যায়াম আলাদা করে করবেন না একদিন শরীরের উপরের অংশ ও একদিন নীচের অংশের ট্রেনিং করবেন, সে সব ভাল করে জেনে–বুঝে নিন৷ নাহলে কিন্তু চোট লাগবে।
# মূল ব্যায়ামের পর ১০–১৫ মিনিট যোগা ও ব্রিদিং এক্সারসাইজ করুন। ইচ্ছে হলে বিকেলেও করতে পারেন। শরীরের নমনীয়তা বাড়বে। মন–মেজাজ ভাল থাকবে।