নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে এ লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। সারাদেশ থেকে আসা প্রায় কয়েকশ শিক্ষক-কর্মচারী এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
গতকাল অবস্থান নেওয়া শিক্ষকরা বলেন, আইএলও এবং ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষাখাতে খরচ করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। কিন্তু সরকার শিক্ষাখাতে খরচ করছে মাত্র ২ শতাংশ, যার জন্য আইএলও এবং ইউনেস্কো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে।
তারা জানান, বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার ভারতসহ বিশ্বের কোনো দেশে বাংলাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো বেতন বৈষম্য নেই। সরকারের পক্ষ হতে হাজার হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ভাগ্য পরিবর্তনে বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেই। অথচ শিক্ষার উন্নয়নের নামে বিভিন্ন প্রকল্পে অনেক টাকা অপচয় করা হয়। গত ১৯ বছর ধরে একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষক ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস এবং বর্তমানে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ১০০০ টাকা বাড়িভাড়া পাচ্ছেন, যা অমানবিক ও দুঃখজনক।
শিক্ষক জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আয় সরকারি কোষাগারে জমা নিয়ে নীতিমালার পরিবর্তন করলে অনায়াসেই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করা সম্ভব। এ দাবি ব্যস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। আর দিন দিন তাদের আন্দোলন আরও বেগবান হচ্ছে। মাহাজোটে যোগ দিচ্ছে নতুন নতুন শিক্ষকদের সংগঠন।
এদিকে শিক্ষক ও কর্মচারীরা সারাদিন জাতীয় প্রেসকাবের সামনে ধুলা-ময়লাযুক্ত রাস্তায় অবস্থান করার কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের অনেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।