নিউজ ডেস্ক:
যেখানে দুর্নীতি সেখানেই নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চলবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী তৎপর আছে বলেই নির্ভরতার জায়গা সৃষ্টি হয়েছে।
২১ নভেম্বর শনিবার দুপুরে মগবাজার বিটিসিএল সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলেই জঙ্গিবাদের আস্তানা ঘেরাও করা হয়েছে এবং জঙ্গিরা সারেন্ডার করেছে।
এদিকে, ২১ নভেম্বর শনিবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোল্ডেন মনিরের বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে র্যাব। এসময় মনিরকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযানে এককোটি নয় লাখ টাকা, ৫টি বিলাসবহুল গাড়ি, স্বর্ণালঙ্কার, অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়।
অভিযানের বিষয়ে র্যাব জানায়, গোল্ডেন মনিরের আরেকটি পরিচয় আছে, সেটা হচ্ছে ভূমিদুস্য। রাজউকের অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজসে বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে। ঢাকার শহরের ডিআইটি প্রজেক্ট, এর পাশাপাশি বাড্ডা নিকুঞ্জ উত্তরা এবং কেরানীগঞ্জে ২০০ বেশি প্লট রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০টির কথা তিনি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে, ২0 নভেম্বর শুক্রবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে নব্য জেএমবির আঞ্চলিক প্রধানসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে জঙ্গিবাদী বই, দেশীয় অস্ত্র ও বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
“রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় স্বর্ণ ও গাড়ি ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম ওরফে গোল্ডেন মনিরের বাসা থেকে ৬০০ ভরি স্বর্ণ (আট কেজি), ১০টি দেশের মুদ্রা, এক কোটি ৯ লাখ নগদ টাকা, বিদেশি পিস্তলসহ কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে র্যাব। অভিযান শেষে ২১ নভেম্বর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, মোট এক হাজার ৫০ কোটি টাকার মতো সম্পদ আছে গোল্ডেন মনিরের। হুন্ডি ব্যবসা, স্বর্ণ চোরাচালান, ভূমি দস্যুতার মাধ্যমে এ পরিমাণ অবৈধ সম্পদ তৈরি করেছেন তিনি।”
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার এ বিষয়ে জানান, শুক্রবার সকালে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বোমা নিষ্ক্রিয় দলের উপস্থিতিতে বাড়িটির ভেতরে প্রবেশ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় নব্য জেএমবির আঞ্চলিক প্রধান কিরন ওরফে শামিমসহ তার তিন সহযোগী নাঈমুল, আতিউর রহমান ওরফে কলম সৈনিক ও আমিনুল আত্মসমর্পণ করে। সে সময় ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য, দুটি পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র ও জঙ্গিবাদী বই।