দেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ

দেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বলা হয়ে থাকে- স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। কথাটি শুধু কথার কথা নয়। শরীর-মন ভালো না থাকলে ব্যক্তির জীবন কখনো সুন্দর হয় না। কর্মে ও যাপনে আসে না বিঘ্ন। নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা যেমন প্রতিটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব, তেমনই সব দেশের নাগরিকদেরই মৌলিক চাহিদার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ চিকিৎসাসেবা। স্বাস্থ্য সুরক্ষা যে কোনো দেশের মানুষের অন্যতম চাওয়া। আর জনগণকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া একটি রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মূল অংশ। যেটি কার্যকরভাবে পরিচালিত করতে পারলে স্বাস্থ্যখাতের প্রায় ৮০ শতাংশ অর্জন নিশ্চিত হয়। বাংলাদেশে আপামর মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গ্রামাঞ্চলে কিছু অবকাঠামো থাকলেও শহরকেন্দ্রিক সরকারিভাবে প্রাথমিক কোনো কাঠামোও এখনো গড়ে ওঠেনি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবায় কাঠামো থাকলেও রয়েছে লোকবল সংকট। অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তর আলাদাভাবে কাজ করায় সম্পদের ব্যয় বেড়েছে। এর ফলে সমন্বয়হীনতা একদিকে যেমন রোগীর বিপর্যয়মূলক চিকিৎসা ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে অন্যদিকে ২০৩০ সালের মধ্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্য অর্জনেও তা বড় বাধা হয়ে আসছে। এসব সমন্বয়হীনতা এখনই প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে জোর দিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। তা না হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ।

২০১২ সালে স্বাস্থ্যসেবা কৌশলপত্রে বলা হয়েছিল, ২০৩২ সালের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে ব্যক্তির খরচ ৬২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশে আনা হবে। অথচ সে খরচ এখন বেড়ে হয়েছে ৬৯ শতাংশ। আর গত এক দশকে স্বাস্থ্যখাতে সরকারের ব্যয় না বেড়ে বরং আগের ২৩ শতাংশই রয়ে গেছে। এসময়ে দেশে বেড়েছে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব। নানা অনাস্থায় দেশের সামর্থ্যবান মানুষ চিকিৎসা নিতে বিদেশনির্ভর হচ্ছেন। এতে খরচ হচ্ছে বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা।

১৯৯৭-২০২০ সালের বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস (বিএনএইচএ) অনুযায়ী, ব্যক্তি খরচের মধ্যে ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ খরচ হয় ওষুধে, ১১ দশমিক ৭ শতাংশ খরচ হয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ১০ দশমিক ১ শতাংশ খরচ হয় চিকিৎসকদের পেছনে, ১০ দশমিক ৮ শতাংশ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, ২ দশমিক ৪ শতাংশ দন্ত চিকিৎসক, শূন্য দশমিক ১ শতাংশ খরচ হয় হাসপাতাল ও মেডিকেল পণ্যের পেছনে।

দেশের স্বাস্থ্যসেবার এমন চালচিত্রের মধ্যেই ৭ এপ্রিল সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০২৩।’ প্রতিবছর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়। এ বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘হেলথ ফর অল’ অর্থাৎ ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা’। ‘সুরক্ষিত বিশ্ব, নিশ্চিত স্বাস্থ্য’ প্রতিপাদ্যের আলোকে বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের মাধ্যমে সবার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে তারা সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেন মানুষ আর্থিক অসুবিধা ছাড়াই প্রয়োজনীয় মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলো সহজে পেতে পারে। তবে সংস্থাটির সবশেষ হিসেব অনুযায়ী, বৈশ্বিক জনসংখ্যার ৩০ ভাগই প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পান না এবং প্রায় দুইশ কোটি মানুষ ভয়াবহ স্বাস্থ্য ব্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন। বাংলাদেশের তথ্য-উপাত্ত বলছে, এক্ষেত্রে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (পিএইচসি) ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা সবচেয়ে কার্যকরী এবং ব্যয়-সাশ্রয়ী পদক্ষেপ হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে।

দেশে নানা ধরনের সংক্রামক, অসংক্রামক রোগের বিস্তার বাড়ছে। বিশেষ করে মানুষ হার্ট অ্যাটাকসহ হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ক্যানসার, কিডনি রোগ, শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি রোগ, মানসিক রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ইউরিক অ্যাসিড, গ্যাস্টিক, আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশে যত মৃত্যু হয় তার ১০ জনের মধ্যে সাতজনই অসংক্রামক ব্যাধিতে মারা যাচ্ছেন। এসব রোগে ৩০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে বেশি মৃত্যু হয়। এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে ব্যক্তির পকেট থেকে খরচ হচ্ছে ৭৮ দশমিক ৫ শতাংশ। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জন করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে এই ব্যয়কে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। এখন যেভাবে চলছে তাতে উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালঞ্জ সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। এ জায়গায় এক বড় ঘাটতি থাকছে। এর আরেকটি সমস্যা হলো স্বাস্থ্যখাত বাণিজ্যমুখী হয়ে পড়েছে। এটাকে সেবামূলক করা দরকার। দেখা যায়, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে পরীক্ষার জন্য বাইরে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আবার কমিশন পান চিকিৎসকরা। ওষুধ হাসপাতাল থেকে সব ওষুধ দেওয়া হয় না। বাইরে থেকে কিনতে হয়। সেখানেও চিকিৎসকদের কমিশন থাকে। আবার প্রাইভেটে সেবা নিতে গেলেও অনেক অপ্রয়োজনীর সার্জারি করা হয়। তার মানে মানুষের কোথাও যাওয়া উপায় নেই।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে অন্য একটি চ্যালেঞ্জ হলো অসংক্রামক রোগ। একজন রোগীর যদি ডায়াবেটিস ২৪ বছরে দেখা দেয়, এ রোগী যদি ৭০ বছর বাঁচে তাহলে কমপক্ষে ৩০ বছর তাকে সেবা দিতে হবে। এই সেবা দিতে গিয়ে হাসপাতালে ওপরও চাপ বাড়ছে। অন্যদিকে এই রোগ থেকে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এ কারণে আমরা কিডনি ডিজিজ, হার্ট ফেইলর, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসারের মতো রোগ কমাতে পারছি না। রোগীদের ব্যক্তি খরচও অনেক বেশি এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা কঠিন। রোগ যত বাড়বে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ তত বাড়বে। দেখা যায়, সাধারণ পরিবারের কোনো ব্যক্তির সার্জারির প্রয়োজন টাকা জোগাড় করতে জমি জমা বিক্রি করতে হচ্ছে। অথবা ব্যবসার পুঁজি বা শেষ সম্বলটুকু নষ্ট করতে হচ্ছে।

সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ‘জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে চিকিৎসকদের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষণায় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চিত্র উঠে আসে। সেখানে অনুমোদিত পদের বিপরীতে শূন্য পদের বিষয়ে বলা হয়, জেলা হাসপাতালে ৩০ শতাংশ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬৩ শতাংশ আবাসিক মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য। জেলা হাসপাতালে ৫১ শতাংশ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭৭ শতাংশ জুনিয়র বা সিনিয়র কনসালটেন্টের পদ শূন্য। জেলা হাসপাতালে ৬৫ শতাংশ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৮ শতাংশ মেডিকেল অফিসার বা সহকারী সার্জনের পদ শূন্য। অন্যদিকে শতভাগ জেলা হাসপাতালে রক্ত পরিসঞ্চালন সেবা থাকলেও ৪১ দশমিক ২ শতাংশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই সেবা পাওয়া যায়নি। জেলা হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যথাক্রমে ৮৮ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ৪১ দশমিক ২ শতাংশ ক্ষেত্রে এক্স-রে পরিষেবা পাওয়া গেছে। ৮৮ দশমিক ৯ শতাংশ জেলা হাসপাতাল এবং ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইসিজি পরিষেবা পাওয়া গেছে। ২০ শতাংশ জেলা হাসপাতালে এবং ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের জন্য থাকা ডরমিটরি বা কোয়ার্টারে গার্ড থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

গবেষণার সুপারিশে বলা হয়, মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যকর্মীদের সব স্তরের শূন্য পদ পূরণ, অর্জিত দক্ষতা অনুযায়ী চিকিৎসকদের যথাযথ পোস্টিং নিশ্চিত, পৃথক পরামর্শ কক্ষ, ওয়েটিং রুম, চিকিৎসকের কক্ষ, চিকিৎসক ও রোগী উভয়ের জন্য পরিষ্কার টয়লেট, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ করা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, রসদ, প্রশিক্ষিত জনবল, ল্যাবরেটরি পরিষেবাগুলো উন্নত, কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত, চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর অ্যাটেনডেন্ট, স্থানীয় প্রভাবশালী এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি, হাসপাতালে উপযুক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসকদের জন্য মানসম্মত আবাসন সুবিধা নিশ্চিত, পোস্টিং, বদলি এবং পদোন্নতির জন্য যুগোপযোগী নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ জাগো নিউজকে বলেন, দেশে ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ (ইউএইচসি) বা সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে সর্বপ্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দিতে হবে। কিন্তু সবাই মানসম্পন্ন সেবা পাচ্ছে না। বৈশ্বিক ইউএইচসি র্যাঙ্কিংয়ের সূচকে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ১০০ এর মধ্যে ৫১তম। সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ শুধু আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের তুলনায় সামান্য এগিয়ে আছে। ইউএইচসির দুটি অংশের একটি প্রিভেন্টিভ বা প্রতিরোধমূলক অন্যটি কিউরেটিভ বা নিরাময়মূলক।

তিনি বলেন, ইউএইচসি অর্জন করতে হলে প্রাইমারি কেয়ার প্রিভেন্টিভ লক্ষ্যমাত্রা স্কোর ৮০তে উন্নীত করতে হবে। দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠোমোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা ইউনিয়ন সাব-সেন্টার, পরিবার পরিকল্পনা সেবা সেন্টার এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তর একই মন্ত্রণালয়ভুক্ত হওয়ায় তাদের একই ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে পর্যাপ্ত জনবল ও সরঞ্জাম না থাকায় কেউই প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করতে পারছেন না।

চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ডা. লিয়াকত আলী জাগো নিউজক বলেন, ২০১২ কৌশলপত্রে বলা হয়েছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা এ খরচ ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনবো এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবো। কিন্তু তা সরকার পারেনি। তবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যু ও জন্মহার কমিয়ে আমরা মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট সময়ের আগেই অর্জন করেছি। কিন্তু ২০১৫ সালের পর তা স্থির হয়ে গেছে। ২০৩০ সালের সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের আগে বুঝতে হবে আমরা সঠিক পথে আছি কি না।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে এমনিতেই বাজেট খুবই কম দেওয়া হয়। যেটুকু দেওয়া হয় সেখানেও আবার ব্যয়ের ক্ষমতা বাড়ানো যায়নি। স্বাস্থ্যে প্রয়োজনীয় জনশক্তি তৈরি হয়নি। বাস্তবায়ন ও ব্যয় ক্ষমতার স্বচ্ছতায় অনেক সমস্যা রয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করতে না পারলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং ব্যক্তির স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় কমানো সম্ভব নয়। নগরকেন্দ্রিক প্রাথমিক ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।

Loading

পোষ্টটি প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করতে পারেন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!