নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। কোম্পানিটির নাম ‘এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেড’ পরিবর্তন করে ‘এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি’ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ প্রস্তাব অনুমোদন করায় আগামী রোববার থেকে ডিএসইতে ‘এমজেএল বাংলাদেশ পিএলসি’ নামে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এমজেএল বাংলাদেশ। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১৫ পয়সা বেড়েছে। ডিএসইতে প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ১৫ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ১৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৩৭ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ৭৯ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ৭২ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ৪০ টাকা ৫৬ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৭৩ পয়সা (আগের বছর একই সময়ে ছিল এক টাকা ৭৩ পয়সা।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৩৬ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৫৫ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ২৮ পয়সা (ঘাটতি)।
‘এ’ ক্যাটেগরির এই কোম্পানিটি ২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩১৬ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ৫৬০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৩১ কোটি ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ২৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের ৭১ দশমিক ৫৩ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালক, প্রতিষ্ঠানিক ২১ দশমিক ৫৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ৮৬ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ৮৮৮টি শেয়ার মোট ১৩ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৮০ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৮৪ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৯৫ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।