আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লকে। তিনি উত্তর চব্বিশ পরগণার ব্যারাকপুর জেলার ‘বিজেপি স্ট্রংম্যান’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ টিটাগড় থানার সামনে দলীয় কার্যালয়ে ঢোকার সময় ৩-৪ জন বাইকে করে এসে তাঁকে ঘিরে ধরে। তারপর এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয় পড়ে এই বিজেপি নেতা। দুষ্কৃতীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
গুলিবিদ্ধ মণীশকে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর সেখান থেকে কলকাতায় বাইপাসের ধারে অন্য আর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তার সঙ্গী গোবিন্দ।
দলীয় নেতা খুনের ঘটনায় তৃণমূল ও পুলিশকে দায়ী করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। আজ, সোমবার বিজেপির ডাকে চলছে ব্যারাকপুর বনধ্। এই ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে টিটাগড়। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “দলের যুব নেতা, আইনজীবী এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর মণীশ শুক্লর ভয়াবহ হত্যা নিন্দনীয়। বাংলায় তৃণমূল রক্তের রাজনীতি করছে। এই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কি ন্যায় বিচার আশা করা যায়?”
রবিবার মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় আজ সকাল ১০টায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জেরে রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে টিটাগড় পুরসভার কাউন্সিলর মণীশ শুক্লার কাপুরোষচিত খুনের ঘটনায় সোমবার সকাল ১০টায় স্বরাষ্ট্রসচিব ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিকে তলব করা হয়েছে।’