প্রথমার্ধে সোনালী আঁশের ইপিএস বেড়েছে

প্রথমার্ধে সোনালী আঁশের ইপিএস বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাট খাতের কোম্পানি সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আর আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৩ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৮৩ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ৩০ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ২৭ পয়সা। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস বেড়েছে ৭৬ পয়সা। এদিকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩০ টাকা ৬১ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৩ টাকা ৩৭ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ টাকা ৯০ পয়সা।

এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৯২ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২৮ টাকা ৫৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৪৯ পয়সা।

এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নড়ষ লভ্যাংশ দিয়েছিল। সে সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল এক টাকা ১৩ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ২২৫ টাকা ৬৫ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৮৬ পয়সা (ঘাটতি)।

১৯৮৫ সালে প–ঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৫৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫৪ লাখ ২৪ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৫০ দশমিক ৭৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৪৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ১ শতাংশ বা ৪ টাকা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪২৭ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪২৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৪৬ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৭৩ হাজার ৯৬২টি শেয়ার মোট এক হাজার ৪৪২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ২২ লাখ টাকা। গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩৮০ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৯৬১ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

Loading

পোষ্টটি প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করতে পারেন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!