নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন কারিকুলামে পাঠদান চলছে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলামের পাঠদান চলার চারমাস পর প্রথম শ্রেণিসহ অন্যান্য চার শ্রেণিতে কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে, তার নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। মাঠ পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা কীভাবে প্রতিপালন মানবেন, সেজন্য ছয় দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।
নির্দেশনা বলা হয়েছে, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কোনো মূল্যায়ন বা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের থেকে কোনো ফি নেওয়া যাবে না।
মঙ্গলবার (৯ মে) অধিদফতরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মনিষ চাকমার সই করা এসব নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্ষপঞ্জি ২০২৩-এ উল্লিখিত মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বিভিন্ন প্রান্তিকের মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তা রুটিন প্রণয়ন করবেন।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০২৩ বর্ষপঞ্জিতে উল্লিখিত মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বিভিন্ন প্রান্তিকের মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তা রুটিন প্রণয়ন করবেন।
২. সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে বিষয় শিক্ষকের মাধ্যমে জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগমূলক শিখনক্ষেত্র বিবেচনায় বিদ্যালয়/ক্লাস্টারভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে।
৩. মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের কাছ থেকে ফি গ্রহণ করা যাবে না।
৪. বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী প্রশ্নপত্র কম্পিউটারে কম্পোজ করে ফটোকপি করতে হবে। প্রশ্নপত্র ফটোকপি ও উত্তরপত্রসহ (খাতা) আনুষঙ্গিক ব্যয় বিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক খাত/স্লিপ ফান্ড থেকে নির্বাহ করতে হবে।
৫. প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কোনও মূল্যায়ন/পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না।
৬. পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম ২০২১ (প্রাথমিক স্তর) অনুযায়ী ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন করতে হবে। প্রথম শ্রেণিতে কোনোরূপ প্রান্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। প্রাথমিক স্তরের শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়নের একটি নির্দেশিকা প্রাথমিক স্তরের প্রথম শ্রেণির জন্য রচিত সব শিক্ষক সহায়িকা সঙ্গে সংযুক্ত করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.nctb.gov.bd) আপলোড করা হয়েছে।
এছাড়া শিক্ষকদের মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা ও তথ্য সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি বিষয়ের ওপর অর্জন উপযোগী যোগ্যতা ও শিখনফলের নম্বর উল্লেখ করে শিক্ষক ডায়েরি-১ এবং শিক্ষক ডায়েরি-২ নামে দুটি ওয়ার্ড ও পিডিএফ ফাইল আপলোড করা আছে। সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান/শিক্ষকরা উক্ত ফাইল ডাউনলোড করে নির্দেশনা অনুযায়ী মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন এবং প্রতি প্রান্তিকে শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির প্রতিবেদন প্রদান করতে পারবেন।
৭. দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে করোনা পরিস্থিতির অব্যবহিত আগের নিয়মানুযায়ী মূল্যায়ন সম্পন্ন করতে হবে।
এদিকে, মাধ্যমিক স্তরে নতুন কারিকুলামে কার কী দায়িত্ব, সে সম্পর্কিত একগুচ্ছ নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। গত ২ মে মাউশির সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরীর সই করা এ নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়।