বরগুনায় দর্শনার্থীদের পছন্দের শীর্ষে সুরঞ্জনা ইকো রিসোর্ট

বরগুনায় দর্শনার্থীদের পছন্দের শীর্ষে সুরঞ্জনা ইকো রিসোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সম্ভাবনাময় জেলা বরগুনার পযর্টন শিল্পের উন্নয়নে সুরঞ্জনা একটি সৃজনশীল স্থানীয় উদ্যোগ। বর্তমানে স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা পরিবার-পরিজন বা প্রিয়জনকে নিয়ে ভিড় করছেন সুরঞ্জনা ইকো রিসোর্টে।

শহরের খুব কাছে প্রকৃতির মাঝে একখণ্ড অবসর কাটানোর স্থান হলো সুরঞ্জনা ইকো টুরিজম অ্যান্ড রিসোর্ট। বর্তমানে ঈদ ও বিভিন্ন ছুটিকে কেন্দ্র করে বাড়তি বিনোদন পেতে এখানে ছুটে আসেন অনেকেই।

সুরঞ্জনা ইকো টুরিজম অ্যান্ড রিসোর্ট ঘুরে জানা যায়, বরগুনা জেলা প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় স্থানীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গণের নেতৃবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতায় এটি বরগুনার প্রথম ও একমাত্র বেসরকারি পযর্টন কেন্দ্র।

এখানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা উপভোগ করছেন বিস্তির্ণ জলমোহনায় ম্যানগ্রোভ বনভূমি যার মধ্যে আছে গোল, হোগল আর নলখাগড়ার বন। হেঁটে হেঁটে প্রকৃতির সৌন্দার্য উপভোগের পাশাপাশি আছে শিশুদের জন্য দোলনা।

আরও আছে ছবি তুলতে তৈরি করা ফ্রেম, আছে তৈরিকৃত কুমির, কাকরা, বাঘ, হরিণ, জিরাফ ও বক। এখানকার বন-দীঘীতে ফুটে থাকা হরেক রঙের পদ্মর মাঝে নৌকায় ঘুরে বেড়ানোয় মুগ্ধ হন দর্শনার্থীরা।

বরগুনার বামনা উপজেলা থেকে আসা একজন দর্শনার্থী মোঃ সালফিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার জানা মতে বরগুনাতে প্রকৃতি উপভোগের জন্য নির্মিত দ্বিতীয় কোনো ইকো টুরিজম নেই। ঈদের দ্বিতীয় দিন চার বন্ধু মিলে প্রথম ঘুরতে এসে এখাকার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ আমরা।

আরেক দর্শনার্থী মেরিন ইসলাম মাইশা জাগো নিউজকে বলেন, ‘বরগুনায় দেখার মতো তেমন কোনো স্থান নেই। তবে সুরঞ্জনা সুন্দর একটি স্থান, সেখানে ঘুরতে এসে প্রকৃতি দেখা যায় ও ছবি তোলা যায়।

‘তাছাড়া শহরের খুব কাছে হওয়ায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে এখানে আসা যায়। তৈরিকৃত বিভিন্ন পশু-পাখি দেখে শিশুরা অনেক কিছু শিখতে পারবে বলে জানান তিনি।

সুরঞ্জনা ইকো টুরিজম এন্ড রিসোর্টের প্রশাসন পরিচালক সুমাইয়া ওমি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঈদের দিন থেকে দ্বিতীয়দিন সুরঞ্জনায় মানুষের ভিড় বেশি ছিল। তাছাড়া যে ক’দিন ছুটি আছে নিয়মিত সুরঞ্জনায় মানুষের আসার তুলনায় আরও ভিড় বাড়বে।’

সুরঞ্জনা ইকো টুরিজম অ্যান্ড রিসোর্টের উদ্যোক্তা সোহেল হাফিজ জাগো নিউজকে বলেন, ‘দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে হেঁটে সৌন্দর্য উপভোগ করতে সুন্দর পথ তৈরি করা হয়েছে।’

‘এখানকার স্নিগ্ধ সরোবরে ঘুঘুদের জলকেলি, পানকৌড়ির ডুবসাতার, ডাহুকের ডাক এমন সব কিছুতেই দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হবে বলে আমরা মনেকরি।’

উল্লেখ্য বরগুনা ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এ ইকো টুরিজমটি উদ্বোধন করেন।

Loading

পোষ্টটি প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করতে পারেন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!