নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশের একমাত্র টেক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমেরিকার চিকিৎসকদের তথ্য প্রযুক্তি সেবা দিচ্ছে অগমেডিক্স। ২০১২ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইয়ান শাকিল প্রতিষ্ঠিত এই টেক প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কাজ করছেন আট শতাধিক বাঙালি। প্রতিষ্ঠানটি আমেরিকার চিকিৎসকদের কাছে আসা রোগীদের সমস্যা ও চিকিৎসকের পরামর্শ সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করে দেয়।
সোমবার (৮ মে) রাজধানীতে ‘ইউজিং এআই টু জেনারেট দ্য নেক্সট জেনারেশন মেডিকেল ডকুমেন্ট’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বনানীর বুয়েট গ্র্যাজুয়েটস ক্লাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে অগমেডিক্স বাংলাদেশ।
সেমিনারে মেডিকেল ডকুমেনটেশনের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। এছাড়া পরবর্তী প্রজন্মের মেডিকেল ডকুমেন্ট তৈরিতে কীভাবে দক্ষতার সঙ্গে এআই ব্যবহার করা সম্ভব সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন অগমেডিক্স বাংলাদেশের চিফ টেকনোলজি অফিসার সৌরভ চ্যাটার্জি। তিনি দক্ষতা বৃদ্ধি, নির্ভুল ও স্বচ্ছতা এবং মেডিকেল ডকুমেন্টেশনের অ্যাক্সেস বিষয়ে এআইয়ের সম্ভাব্য সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন।
অগমেডিক্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টির রাশেদ নোমান বলেন, কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসকদের যোগাযোগ আরও সহজ ও উন্নত করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। যেহেতু স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রতিনিয়তই নতুন ও গেইম চেঞ্জিং এআই উন্মোচিত হচ্ছে, সবার মনেই প্রশ্ন জাগছে প্রযুক্তি দ্বারা কীভাবে স্বাস্থ্যসেবার ভবিষ্যত পরিবর্তন হতে পারে! আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা খাতে এআইয়ের সুবিধাগুলি সরাসরি দেখতে পাচ্ছি। ভবিষ্যতে বাংলাদেশেও তেমনটি দেখতে চাই।
সেমিনারে অটোমেটেড মেডিকেল ডকুমেনটেশন, ক্লিনিক্যাল ডিসিশন সাপোর্ট, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং, ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ড অপ্টিমাইজেশন এবং প্রেডাক্টিভ অ্যানালিস্টিকস বিষয়ক বেশকিছু তথ্যপূর্ণ পর্ব আলোচনা করা হয়। সেমিনারে এআই ব্যবহারে স্বাস্থ্য খাতকে রূপান্তরিত করা সম্ভব বলে প্যানেলিস্টরা একমত হন। একই সঙ্গে রোগীদের সেবাযত্ন ও চিকিৎসা অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে এই প্রযুক্তিগুলো ব্যবহারের আহ্বান জানানো হয়। দেশের চিকিৎসা খাতের পেশাদার গবেষকরাসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।