বিশ্বের ৬ স্থানে নারীদের প্রবেশ নিষেধ

বিশ্বের ৬ স্থানে নারীদের প্রবেশ নিষেধ

নিউজ ডেস্কঃ

বিশ্বের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের আনাগোনা সব সময় লেগেই থাকে। তবে বিশ্বে এমনও কিছু স্পট আছে, যেখানে নারী পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সেসব স্থানে নারীরা চাইলেও যেতে পারেন না। জেনে নিন কোন কোন স্থানে নারীদের প্রবেশ নিষেধ-

ইরানি স্পোর্টস স্টেডিয়াম

ইরানের ক্রীড়া স্টেডিয়ামে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর সেখানে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার কারণ খুবই অদ্ভুত। ইরান সরকার মনে করে, পুরুষদের শর্ট প্যান্ট পরা অবস্থায় খেলা দেখা উচিত নয় নারীদের। এছাড়া পুরুষরা খেলা চলাকালীন অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে নারীদের সেখানে উপস্থিত থাকা যথাযথ নয়।

কার্তিকেয় মন্দির, ভারত

রাজস্থানের পুষ্কর শহরে একটি মন্দির আছে, যেখানে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। কার্তিকেয় মন্দিরটি ভগবান কার্তিকেয়কে উত্সর্গীকৃত ও তার ব্রহ্মচারী রূপ এখানে চিত্রিত করা হয়েছে।

কথিত আছে, কোনো নারী যদি ভুল করেও মন্দিরে প্রবেশ করে তাহলে তিনি ভগবানের অভিশাপ পায়। এই ভয়ে কোনো নারী মন্দিরের ভেতরে যান না।

বার্নিং ট্রি ক্লাব, ইউএস

বার্নিং ট্রি ক্লাব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অনন্য গলফ ক্লাব। স্থানটি কোনো ধর্মীয় বিপ্লবের জন্য নয়, শুধু শখের জন্য করা হয়েছে। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, এখানে শুধু পুরুষদের অনুমতি দেওয়া হয়। যেহেতু এই ক্লাব খুবই বিখ্যাত এমনকি প্রেসিডেন্ট ও বিচারকরাও সেখানে গল্ফ খেলতে যান, তাই সেখানে নারীদের যাওয়া নিষিদ্ধ।

মাউন্ট এথোস, গ্রীস

গ্রিসের মাউন্ট এথোস একটি জায়গা যেমন সুন্দর তেমনই অদ্ভুত। এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে নারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে। এখানে শুধু ১০০ জন অর্থোডক্স ১০০ নন-অর্থোডক্স পুরুষের প্রবেশের অনুমতি আছে। এখানে বসবাসরত সাধুদের মতে, নারীদের আগমনে তাদের জ্ঞান যাত্রার পথ ধীর হয়ে যায়।

শবরীমালা, কেরালা

কেরালায় শবরীমালা নামক একটি মন্দির আছে, যেখানে নারীদের প্রবেশ নিষেধ। এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। এখানে নারীদের প্রবেশ নিয়েও বহুবার বড় বিতর্ক হয়েছে। ১০-৫০ বছর বয়সী নারীদের মন্দিরে প্রবেশ নিষেধ। এর প্রধান কারণ হলো মন্দিরের প্রধান দেবতা ব্রহ্মচারী।

ওকিনোশিমা দ্বীপ, জাপান

ওকিনোশিমা একটি পবিত্র জাপানি দ্বীপ, যা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত। শিন্তো ঐতিহ্যের কারণে এখানে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। শিন্তো ঐতিহ্য বৌদ্ধধর্ম, কনফুসিয়ানিজম, তাওবাদ ও চীনের মিশ্রণ।

Loading

পোষ্টটি প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করতে পারেন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!