নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানীর গুলিস্তানের পাশে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার ভবন মালিকসহ তিনজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আসামিরা হলেন, ভবনের দুই মালিক ওয়াহিদুর রহমান ও তার ভাই মতিউর রহমান এবং ভবনের বেসম্যান্টের স্যানিটারি ব্যবসায়ী মিন্টু।
গতকাল (১২ মার্চ) দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ঘটনার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মাবুদ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম তাদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে সাত তলা একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের আরেকটি পাঁচ তলা ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরমধ্যে সাত তলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দোতলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচ তলা ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। পরে সেখানে উদ্ধারকাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।
বিস্ফোরণের পর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ঘটনার দিন রাত পৌনে ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়। পরদিন থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত শতাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিস্ফোরণের ফলে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে রাজউক। ভবনটি ধসে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এজন্য এই ভবনে উদ্ধার তৎপরতায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তবে ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে নাকি সংস্কার করা হবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে রাজউক দেড় মাস সময় নিয়েছে।