আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ডলারের আধিপত্যের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। সম্ভাব্য ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে ইউয়ান চালু করার কথা ভাবছে দেশটি, যা আর্থিক খাতের দৃশ্যপট বদলে দিতে পারে। এ পথ ধরেই বিটকয়েনের মতো সম্ভাব্য ডিজিটাল মুদ্রার বিকাশের পথে এগিয়ে যেতে পারে দেশটি।
ফোর্বসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে অনেক দেশের সরকার অর্থের পরিবর্তিত প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় আগে চালু হয়েছিল ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা বিটকয়েন এবং গত বছর ফেসবুক লিবরা চালুর মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রার বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে।
এখন চীনের একটি প্রভাবশালী গ্রুপ পূর্ব এশিয়ার জন্য ক্রিপটোকারেন্সি স্কিম চালু করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, যাতে কয়েকটি মুদ্রাকে একত্র করে বিটকয়েন, ফেসবুকের লিবরা, এমনকি ডলারকে টেক্কা দেওয়া হবে। করোনার প্রভাবে পড়া অর্থনৈতিক মন্দা থেকে উত্তরণে লড়াই করতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। এ সুযোগ নিতে চায় গ্রুপটি।
নিক্কেই এশিয়ান রিভিউয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিটকয়েনের মতো ‘ইস্ট এশিয়া ক্রিপটোকারেন্সি স্কিম’–এর প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে চীনা মুদ্রা ইউয়ান, জাপানিজ ইয়েন, দক্ষিণ কোরিয়ার ওন ও হংকং ডলারকে যুক্ত করা। এ মাসে রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসুলেটিভ সম্মেলনে এক সভায় প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়। ওই উপদেষ্টা পরিষদের ১০ সদস্যের উপস্থাপন করা পরিকল্পনাটি মনোযোগ কেড়েছে, কারণ তাদের মধ্যে রয়েছে চীনা ট্রাভেল সেবাদাতা সিট্রিপের সহপ্রতিষ্ঠাতা নেইল সেন, হংকংয়ের সাবেক প্রধান সচিব হেনরি ট্যাং প্রমুখ।
আঞ্চলিক ক্রিপ্টোকারেন্সি চারটি মুদ্রার দ্বারা সমর্থিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে তাদের অর্থনৈতিক আকারের ওপর ভিত্তি করে এর মান নির্ধারণ হবে। এর মধ্যে চীনের ইউয়ান ও জাপানের ইয়েন ৬০ ও ২০ শতাংশ হিসাব ধরা হবে।