মাকুনুরা-এমপোফু দম্পতি বিশ্ব ক্রিকেটে খুব পরিচিত নাম না হলেও জিম্বাবুয়ের ক্রীড়াঙ্গনের সবাই চিনতেন তাঁদের। দুই সন্তানকে অনাথ বানিয়ে কোচ দম্পতির অকালমৃত্যুতে দেশটির ক্রিকেটে এখন শোকের ছায়া।
কোচিং পেশায় নাম লেখানোর আগে খেলোয়াড় ছিলেন সিনিকিউই এমপোফু। বলা যায়, জিম্বাবুয়ের নারী ক্রিকেট ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল মুহূর্তের অংশ হয়ে আছেন তিনি। ২০০৬ সালে দেশটির নারী দলের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচের সদস্য তিনি। ২০১১ সালে বাংলাদেশে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বেশ কয়েকটি ম্যাচও খেলেছেন
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিভমোর মাকোনি এক শোকবার্তায় বলেছেন, ‘স্বামীর কয়েক সপ্তাহ পরেই স্ত্রীরও মারা গেলেন। তাঁরা দুজনই আমাদের কোচিং স্টাফের সদস্য ছিলেন। তাঁদের ছোট্ট দুই সন্তান, পরিবার, বন্ধু ও পুরো ক্রিকেট–সমাজের জন্য সময়টা ভীষণ কঠিন ও বেদনাদায়ক। সবাইকে আন্তরিক সমবেদনা জানাই।’
এমপোফুই প্রথম পেশাদার জিম্বাবুইয়ান নারী ক্রিকেটার, যিনি পরবর্তী সময়ে কোচ হয়েছেন। জাতীয় নারী দলের প্রধান কোচ গ্যারি ব্রেন্টের সহকারী হিসেবে কাজ শুরুর আগে ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্বে। কিন্তু স্বামী মাকুনুরার অসুস্থতার কারণে ছুটিতে ছিলেন।
মাকুনুরা অবশ্য কখনো জাতীয় দলে খেলেননি। তবে কোচ হিসেবে ছিলেন সমাদৃত। ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ছিলেন জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ। ২০১৮ সালে পান ‘এ’ দলের দায়িত্ব। টানা চার মৌসুম জিম্বাবুয়ের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির শিরোপাজয়ী একমাত্র কোচ ছিলেন মাকুনুরা। সেই সাফল্যের সুবাদে হয়েছিলেন রাজা-উইলিয়ামস-আরভিনদের ফিল্ডিং কোচ। কিন্তু শারীরিক জটিলতা তাঁকে আর ফিরতে দেয়নি মাঠে।
অসুস্থতার কারণে মাকুনুরা মারা গেলেও তাঁর স্ত্রী এমপোফুর মৃত্যুকে অনেকের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। জেডসি অবশ্য এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে রহস্য উন্মোচিত হবে এবং মৃত্যুর আসল কারণ জানানো হবে।