নিজস্ব প্রতিবেদক :
নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম সরবরাহে দুর্নীতির অভিযোগে মামলার পর জেএমআইয়ের এমডি আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুরে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কমিশনের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা মঙ্গলবার সকালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ আব্দুর রাজ্জাক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর দুপুরের দিকে কমিশনের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল রাজ্জাককে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানে বের হয়, পরে তাকে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, কেন্দ্রীয় ওষুধাগার-সিএমএসডির সাবেক উপপরিচালক জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর জিয়াউল হক, ডেস্ক কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ, স্টোর কর্মকর্তা কবির আহমেদ, সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির।
দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে ডাক্তার-নার্স ও অন্যান্যদের সুরক্ষায় এন-নাইন্টি ফাইভ মাস্কসহ স্বাস্থ্য সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য জেএমআই গ্রুপের সাথে চুক্তি করে সরকার। পরে জেএমআই গ্রুপ ২০ হাজার ৬০০ এন-নাইন্টি ফাইভ মাস্ক সরবরাহ করে। পরে দেখা যায় মাস্কগুলো এন-নাইন্টি ফাইভ বলা হলেও তা সাধারণ মানের মাস্ক।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে জেএমআই এর এমডি আব্দুর রাজ্জাককে গত ৮ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। সেদিন সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ৫ ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিইসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ১৫ জুন জয়নুল আবেদীন শিবলীকে প্রধান করে চার সদস্যের এই অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক। তিন মাস অনুসন্ধান শেষে মামলাটি দায়ের করা এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হল।