নিজস্ব প্রতিনিধি : যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে সংঘর্ষ ও মারধরের ঘটনায় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। শুরুতে বন্দি কিশোরদের মধ্যে সংঘর্ষের কথা বলা হলেও আহত কিশোরদের অভিযোগ শিক্ষকদের নেতৃত্বেই অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে তাদের উপর। বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনায় নিহত হন ৩ জন। আহত হন আরো ১৪ কিশোর।
যশোর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক অমিয় কুমার দাস জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত কয়েক দফায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে নিহত ২ জনসহ গুরুতর আহত ১৭ জনকে আনা হয় যশোর সদর হাসপাতালে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরো এক কিশোর।
আহত কিশোরদের অভিযোগ, গত ৩ আগস্ট কেন্দ্রের এক প্রহরীকে মারার দায়ে বৃহস্পতিবার তাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করেন কেন্দ্রের শিক্ষকসহ অন্যরা। গুরুতর আহত হলেও কোনো রকম চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে বিকেল পর্যন্ত ফেলে রাখা হয় সেখানে।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জানান, এ ঘটনায় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ কোনো বক্তব্য দেয়নি। তবে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গুরুতর আহত অবস্থায় কেন্দ্রের ১৪ কিশোর যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এর আগে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।