রপ্তানি ঋণের সীমা ৫০ লাখ ডলার কমল

রপ্তানি ঋণের সীমা ৫০ লাখ ডলার কমল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে কাঁচামাল আমদানির জন্য রপ্তানিকারকদের ঋণ নেওয়ার সীমা কমিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানিকারকরা এ তহবিল থেকে সর্বোচ্চ আড়াই কোটি ডলার ঋণ নিতে পারতেন। এখন নিতে পারবেন ২ কোটি ডলার। অর্থাৎ রপ্তানি ঋণের পরিমাণ কমেছে ৫০ লাখ ডলার। অন্যান্য খাতেও ঋণ নেওয়ার সীমা ৫০ লাখ ডলার কমানো হয়েছে। ফলে আগে রপ্তানিকারকরা এ তহবিল থেকে যে ঋণ পেতেন এখন তার চেয়ে ৫০ লাখ ডলার কম পাবেন। এ বিষয়ে রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত বাস্তবায়ন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণের সীমা কমিয়ে দিয়েছে। আইএমএফ এই তহবিলের আকার ছোট করার পরামর্শ দিয়েছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ থেকে যেসব অর্থ নিয়ে আলাদা তহবিল গঠন করা হয়েছে সেগুলোর বাদ দেওয়ার শর্ত আরোপ করেছে। ওই শর্ত বাস্তবায়ন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইডিএফের আকার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসাবে এ তহবিলের চাহিদাও কমানো হচ্ছে। এ কারণে ঋণের পরিমাণ কমানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০০ কোটি ডলারের তহবিল থেকে ১০০ কোটি ডলারের ব্যবহার কমানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর আকার আরও কমানোর চেষ্টা করছে। এর ফলে রিজার্ভ থেকে অর্থ বাদ দেওয়ার পরিমাণ কমবে। আগে বিভিন্ন তহবিলে বিনিয়োগ করা হয়েছিল ৮০০ কোটি ডলার। এ পরিমাণ অর্থ বাদ দিতে হতো। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক তহবিলে বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ কমানোর ফলে রিজার্ভ থেকে অর্থ বাদ দেওয়ার পরিমাণও কমবে।

এদিকে রপ্তানিকারকরদের সুবিধা দিতে গত জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেছে। এই তহবিল থেকে উদ্যোক্তারা কম সুদে কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণ নিতে পারবেন। ঋণের অর্থ বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তর করে এলসি খুলতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সদস্যরা দুই কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। আগে এই ঋণের সীমা ছিল ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ডাইড ইয়ার্ন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ঋণ নিতে পারবেন সর্বোচ্চ এক কোটি ডলার। আগে তাদের ঋণের সীমা ছিল ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এতে আরও বলা হয়, রপ্তানির আদেশের বিপরীতে আগে অন্য রপ্তানিকারকরা সর্বোচ্চ ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ নিতে পারতেন। এখন তারা নিতে পারবেন ১ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপর এক সার্কুলারে শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও সরকারি আমদানির বকেয়া অর্থ পরিশোধে ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল ব্যবহারের নীতিমালা আংশিক শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ খাতে অর্থ ব্যবহারের জন্য ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের ২৫ শতাংশ অর্থ অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে (ওবিইউ) ব্যবহারের সীমা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

একই সঙ্গে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট তাদের নিজস্ব মূলধনের ৪০ শতাংশ ওইসব খাতে ব্যবহার করার সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

Loading

পোষ্টটি প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করতে পারেন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!