আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে ২৯ বছর পর উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
৫ আগস্ট, বুধবার দুপুরে ভূমিপূজার পর ৪০ কেজি ওজনের একটি রুপার ইট স্থাপনের মাধ্যমে মন্দির নির্মাণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন মোদি। লখনৌ হয়ে মোদি অযোধ্যায় নামেন। এরপর যান হনুমানগরি মন্দিরে। সেখান থেকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) মোহন ভাগবত ও অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা।
এদিকে, যে জমিতে রাম মন্দির নির্মিত হচ্ছে তা নিয়ে কয়েক দশক ধরে হিন্দু-মুসলিম বিরোধ চলে আসছিল। ১৯৯২ সালে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ষোড়শ শতকের বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে। জমির মালিকানা নিয়ে কয়েক দশকের বিরোধ শেষে, ২০১৯ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জমিটিতে রামমন্দির নির্মাণের ব্যাপারে মত দেয়। পাশাপাশি, মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলিমলদের অযোধ্যারই অন্য কোথাও জমির ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথাও বলে আদালত।
ভারতের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মন্দির নির্মাণে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে লাখ লাখ ভক্ত সোনা-রুপার কয়েন, ইট ও বার পাঠিয়েছে। এসব মূল্যবান জিনিস পাহারায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মন্দির নির্মাণের জন্য কয়েক বছর ধরে ভক্তদের কাছ থেকে ‘শ্রী রাম’ লেখা দুই লাখ ইট সংগ্রহ করা হয়েছে। রামমন্দিরের ভিত ওই ইটগুলো দিয়েই তৈরি হবে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এ ব্যাপারে স্থপতি চন্দ্রকান্ত সোমপুরা দ্য প্রিন্টকে বলেছেন, মন্দিরটি উত্তর ভারতের জনপ্রিয় ‘নাগারা’ শৈলীতে নির্মিত হবে। মন্দিরের যে অংশে মূল দেবতার মূর্তি থাকবে তা হবে অষ্টভূজাকৃতির। তিন তলা বিশিষ্ট এ মন্দিরে থাকবে ৩৬৬ পিলার ও পাঁচ গম্বুজ।
অন্যদিকে, রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকে ঘিরে অযোধ্যায় আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে সোমবার থেকেই। মন্দিরের কাজ শেষ হতে প্রায় সাড়ে তিন বছর সময় লাগবে বলে। কেবল মন্দির নির্মাণেই খরচ পড়বে প্রায় তিনশ কোটি রুপি। মন্দিরের আশপাশের অন্যান্য স্থাপনা ও উন্নয়ন কাজে ব্যয় হবে আরও হাজার কোটি রুপি।