নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধিভুক্ত নন-রেসিডেন্ট (অনাবাসিক) চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
গতকাল (৫ মার্চ) বিএসএমএমইউ’র বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে আয়োজিত ‘মার্চ ২০২৩’ সেশনে ভর্তি হওয়া রেসিডেন্সি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ইনডাকশন অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
নবাগত রেসিডেন্টদের উদ্দেশে অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জীবনে সততা, নৈতিকতাকে ধারণ করে ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে। তবেই সফলতা আসবে।’ এসময় উপাচার্য তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরেন। পাশাপাশি নবাগত রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের সুদক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
রোগীদের সাশ্রয়ীমূল্যে হয়রানিমুক্ত সর্বাধুনিক নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান ইমিরেটাস অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘রোগী দেখার ক্ষেত্রে ক্লিনিক্যাল জাজমেন্টেকেও গুরুত্ব দিতে হবে। মানুষ যাতে সাশ্রয়ীমূল্যে চিকিৎসা সেবা পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ডা. আবদুল্লাহ বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এ যুগে প্রযুক্তিকে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। তবে আমরা যেন সম্পূর্ণরূপে প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে যাই। তাছাড়া জীবনে লোভকে অবশ্যই সংবরণ করতে হবে। সততার সঙ্গে জীবনযাপনে মনোযোগী হতে হবে।’
বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জ্ঞান বৃদ্ধি, দক্ষতা অর্জন ও উৎকর্ষ সাধনে রেসিডেন্সি প্রোগ্রামের বিকল্প নেই।’ তিনি তার বক্তব্যে নবাগত রেসিডেন্টদের স্মার্ট ফিজিশিয়ান্স হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখ।
এতে সারাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষদের বিদেশি শিক্ষার্থীসহ সম্মানিত ডিন, কোর্স পরিচালক, বিএসএমএমইউ’র অধিভুক্ত কলেজের প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষকরা অংশ নেন।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীসহ সার্জারি অনুষদ, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদ, মেডিসিন অনুষদ, ডেন্টাল অনুষদ এবং শিশু অনুষদের এক হাজার ২৮৫ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। তারা সবাই এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনকারী।