নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছের ঝুঁকিপূর্ণ ডালপালা কাটার পাশাপাশি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সামনে মোট চারটি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, ঝড়ের কারণে শুধুমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ যেসব গাছ ছিল সেগুলোই কাটা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সামনে সড়কের পশ্চিম পাশের মোট চারটি আকাশমনি গাছ কাটা হয়েছে। গতকাল একটি এবং আজকে (শুক্রবার) তিনটিসহ দুইদিনে এ চারটি গাছ কাটা হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও আরেকটি গাছ কাটা হবে বলে জানিয়েছেন কাঠুরিয়ারা।
গাছ কাটায় শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তারা দাবি করছেন, গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন গাছগুলো কাটার ফলে যেমন ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে, তেমনি পরিবেশেরও অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
প্রশাসন গাছগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ বললেও সেখানে উপস্থিত কাঠুরিয়ারা এবং কর্মচারীদের সাথে কথা বললে তারা গাছগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ বলেননি। তারা জানান, গাছগুলো তেমন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না। গাছগুলো জীবিতই ছিল। গাছগুলোর কিছু ডাল কাটলেই হতো। আমাদের বলা হয়েছে গাছ কাটতে তাই আমরা কাটছি। আমরা এ বিষয়ে আর কিছু জানি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেইট শাখার কর্মকর্তা এ জেড এম তামরিনুল হাসান বলেন, যে চারটি গাছ কাটা হয়েছে সেগুলো আকাশমনি গাছ। গাছগুলোর ভেতরে পঁচে গেছে এবং হেলে গেছে এক পাশে। ঝড় আসলে গাছগুলো ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা অনেক। ঝুঁকি থেকেই এ গাছগুলো কাটা হয়েছে। তবে আর কোনো গাছ কাটা হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেইট শাখার প্রধান এবং ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. রোমেল আহমেদ বলেন, ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়ার ঝুঁকি থেকেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানের গাছের ডালপালা কাটা হচ্ছে। এরমধ্যে চারটি গাছের ভেতরে পঁচে যাওয়ায় গাছগুলো কাটা হয়েছে। এছাড়া আর কোনো গাছ কাটা হয়নি, আর হবেও না। আমরা আরও গাছ রোপণ করব।