শীঘ্রই এইচএসসি পরীক্ষা,চলছে প্রস্তুতি

শীঘ্রই এইচএসসি পরীক্ষা,চলছে প্রস্তুতি

অর্থ আদালত শিক্ষা ডেস্কঃ
উচ্চ মাধ্যমিক  পরীক্ষা (এইচএসসি) বাংলাদেশে প্রতি বছর এপ্রিলের দিকে অনুষ্ঠিত হয়। মহামারি করোনাকালীন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ বছর এপ্রিলে বাংলাদেশে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে এইচএসসি পরীক্ষা যে হবে তা নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডেকে কথা বলেছেন। সেখানে মূখ্য সচিব ছিলেন এবং আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তিনজন সচিব ছিলাম। সেখানে নেয়া সিদ্ধান্তের আলোকেই আমি পিএসসি পরীক্ষা না নেয়ার পক্ষে আজ (বুধবার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মতামত পাঠিয়েছি। আর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা না নেয়ার জন্যও মতামত পাঠানো হচ্ছে। তবে এইচএসসি পরীক্ষা হবে। সেটা দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে নেয়া যায় তার সারসংক্ষেপ তৈরি হচ্ছে। পরীক্ষার কেন্দ্র বাড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হবে৷ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এনিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়া হবে। পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষা না হলেও স্কুলগুলো খোলার পর নিজেরা সমাপনী পরীক্ষা নিতে পারবে।’’
মহামারি করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে হানা দেয়ার আগে বাংলাদেশে মাধ্যমিক পরীক্ষা (এসএসসি) আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সঙ্গে ফল প্রকাশও হয়েছে৷ কিন্তু এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় জেএসসি (জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষা) এবং এইচএসসি পরীক্ষা আটকে গেছে।

গত ১২ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা এবং পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে মন্ত্রণালয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছে। সেই সব পরামর্শ নিয়ে কাজ হচ্ছে৷ কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি৷ কোনো পরীক্ষার তারিখও নির্ধারণ হয়নি।
রাজশাহীর পুঠিয়া এলাকার ইকবালুল বাশার খানের দুই সন্তানের একজন জেএসসি এবং আরেকজন এইএসসি পরীক্ষার্থী। তিনি জানান, ‘‘যদি সামাজিক দূরত্ব মেনে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা সরকার নিতে পারে তাহলে পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। কিন্তু সেটার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে তা আগে প্রকাশ করা উচিত৷ আর এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া ঠিক হবে না।’’
অন্যদিকে অভিভাবকদের অনেকেই বলছেন, এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও তারা সন্তানদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে পাঠাবেন না৷ অভিভাবক ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ‘‘করোনার সংক্রমণ এখনও কমেনি৷ তাই কোনোভাবেই আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন খোলার পক্ষে নয়৷ বিশেষ করে যারা শিশু তারা তো সামাজিক দূরত্বই বোঝে না৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি৷’’
তবে জিয়াউল কবির দুলু মনে করেন করোনা সংক্রমণ কমে এলে নভেম্বরের দিকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে৷ আর পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা নেয়ার দরকার নাই৷

সূত্র:- ডয়েচে ভেলে বাংলা।

Loading

পোষ্টটি প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করতে পারেন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!