নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার রাতে বিএসএমএমইউয়ের প্রক্টর বাদী হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত-মৈত্রী হল শাখার সাবেক সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন-১ শাখার সহকারী রেজিস্টার শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে গতকাল রাত দশটার দিকে শাহবাগ থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেন। আজ শনিবার সকালে আদালতে হাজির করলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন (সিএমএম) আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এই মাস্কের কারণে কোভিড-১৯ সম্মুখযোদ্ধাদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই প্রতারণার জন্য আমরা শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
মামলার আসামি সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী শারমিন জাহান অর্থ আদালতকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী পরিচালক পণ্যগুলো যাচাই করে গ্রহণ করেছেন। এত দিন পর এসে তাঁরা বলছেন পণ্যে ত্রুটি ছিল এটা ঠিক নয়। শারমিনের দাবি, মাস্ক তিনি প্রস্তুত করেন না। অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে এনে সরবরাহ করেন। তিনি আরো বলেন,আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারবো আমার সরবরাহ করা মাস্কগুলো নকল এবং নিম্নমানের ছিলো না। তারপরেও মাস্ক নিয়ে কোন ত্রুটি বা আপত্তি থেকে থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা বদলে দেওয়ার কথা বলতে পারত।তারা আমাকে ১৮জুলাই কারন দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছেন এবং আমি জবাবে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছি যে,যেহেতু আপনারা তৃতীয় ও চতুর্থবারে সরবরাহকৃত মাস্কগুলো নিম্নমানের বা নকল অভিযোগ করেছেন। তাই আমি আপনাদের সঙ্গে এ বিষয়টি সমাধানে বসতে চাই এবং আলোচনা করতে চাই। যেকোনো সমস্যা সমাধানে আলোচনার বিকল্প নেই। আমি যদি আলোচনার প্রস্তাব না দিতাম বা সমাধানে আসতে না চাইতাম তাহলে তারা আমার বিরুদ্ধে মামলা বা যা ইচ্ছে করতে পারতো। অথচ তারা আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই মামলা করে দিল। তিনি বলেন, আমি এখানে ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়েছি।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামীলীগ নেত্রী শারমিন জাহানের গ্রেপ্তারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক এবং বর্তমান নেতৃবৃন্দ। তারা শারমিন জাহানের মুক্তি দাবি করেছেন।