সরকারি হাসপাত্লে প্রাইভেট প্র্যাকটিস

সরকারি হাসপাত্লে প্রাইভেট প্র্যাকটিস

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মার্চের মধ্যেই হাসপাতালে সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস (ফি নিয়ে রোগী দেখা) পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে মেডিকেল ভর্তি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।

সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালুর সর্বশেষ অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মার্চ মাসে প্রাথমিকভাবে শুরু করবো। মার্চ মাস শুরু হয়েছে। আমরা ইনশাআল্লাহ মার্চ মাসে পাইলট স্কিম হাতে নিয়েছি।’

তিনি বলেন,একটা কাজ শুরু করলে অনেক আলোচনা ও সিদ্ধান্তের বিষয় থাকে। আমরা মোটামুটি শেষ করে এনেছি। আশাকরি ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিসের পাইলটিং করতে পারবো।

এর আগেও মার্চ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালুর কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

পরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ‘মার্চ থেকে চেম্বার সর্বোচ্চ ফি ৩০০ টাকা ৩০০ টাকায় পরামর্শ দেবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক’-এমন নানা শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিবৃতি দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, এ ধরনের সংবাদে জনমনে নানারকম বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে সরকারি হাসপাতালে সরকারি চিকিৎসকদের নিজ নিজ হাসপাতালেই অফিস সময়ের বাইরে আলাদা চেম্বার করার বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে একটি কমিটি কাজ করছে এবং কমিটির কাজ এখন চলমান।

এখন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসকের ফি ৩০০ টাকা বা ১৫০ টাকা হবে কি না সেটি ঠিক করা হয়নি। কতটি হাসপাতাল বা সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চালু করা হবে সে বিষয়েরও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে এবং সেটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীকে অবগত করা হবে।

সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রাইভেট প্র্যাকটিস মার্চের মধ্যে চালুর বিষয়টি অনিয়শ্চয়তায় পড়েছে বলেও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে- দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জাহিদ মালেক বলেন, ‘মেডিকেল কলেজের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন আছে এটা আমি স্বীকার করি। আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপও নিয়েছি। আপনারা জানেন এরই মধ্যে কয়েকটি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করেছি, তাদের লাইসেন্সও বাতিল করেছি। যেগুলো বন্ধ আছে শর্তপূরণ সাপেক্ষে তাদের কার্যক্রম চালাতে দেবো। পড়ালেখার মান ভালো না হলে ভালো চিকিৎসকও হবে না। আমরা এ ব্যাপারে কোনো আপস করবো না।

Loading

পোষ্টটি প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করতে পারেন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!