স্পোর্ট ডেস্ক:
দিনেশ কার্তিক স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ান বা তাকে সরিয়ে দেওয়া হোক, ম্যাচ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক বদল হয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের সঙ্গে ভাগ্য বদল হওয়ার আশায়। কিন্তু নতুন অধিনায়ক ইয়ন মরগানকেও একই ভাগ্য বরণ করতে হলো। ১২ বারের সাক্ষাতে মুম্বাইয়ের কাছে ১১তম হার মানতে হলো আবুধাবিতে। কেমন সেই হার? ১৯ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে উড়ে যাওয়া যাকে বলে।
প্রথমে বোলিংয়ে নাকাল করে নির্মম মুম্বাই ১৪৮ রানের বেশি তুলতে দেয়নি কলকাতাকে। পরে ব্যাটিংয়ে দেখিয়েছে পেশিশক্তি। রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি ককের ওপেনিং জুটি ১০.৩ ওভারেই তুলে নিয়েছিল ৯৪ রান। রোহিত ৩৫ রানে আউট হলে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ ডি কক। দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার ও উইকেটকিপার তার অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংসটি খেলেছেন ৪৪ বলে, ৯ চার ও ৩ ছক্কায়। ডি কককে সঙ্গ দিয়ে মাঠ ছাড়া হার্দিক পান্ডিয়ার ২১ রানের অপরাজিত ইনিংসটি ৩ চার ও এক ছক্কায় গড়া ১১ বলে। কলকাতার বোলারদের মধ্যে লেগস্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ছাড়া আর কেউ সমীহ আদায় করতে পারেননি। সুরিয়াকুমার যাদবকে বোল্ড করেছেন, ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৩ রান। আর পোসার শিভম মাভি উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ বানিয়েছেন রোহিতকে। সাড়ে ১৫ কোটি রুপির প্যাট কামিন্স নতুন বলে সেরকম কিছু করতে পারছেন না। শুক্রবারের এ ম্যাচে উইকেটশূন্য, তবে আলো ছড়িয়েছেন ব্যাটিংয়ে।
চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন লেগস্পিনার রাহুল চাহার, অন্য দুই পেসার বুমরা ও বোল্টও নিয়েছেন একটি করে উইকেট। চাহারের লেগস্পিন ও বুমরার পেস সামলাতেই হিমশিম খেয়েছে কলকাতা।
অষ্টম ম্যাচে ষষ্ঠ জয় পেয়ে চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই আবার উঠে দাঁড়ালো শীর্ষে। অষ্টম ম্যাচে চতুর্থ হারে কলকাতা রইলো চারেই, তবে তাদের সামনে এখন অনেক প্রশ্নচিহ্ন
কলকাতা: ২০ ওভারে ১৪৮/৫(কামিন্স ৫৩*, মরগান ৩৯*, গিল ২১, চাহার ২/১৮, বুমরা ১/২২, বোল্ট ১/৩২) ও
মুম্বাই: ১৬.৫ ওভারে ১৪৯/২(ডি কক ৭৮*, রোহিত ৩৫, হার্দিক ২১*, বরুণ ১/২৩, মাভি ১/২৪)।