নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জ, নীলফামারী, রাজবাড়ী সহ দেশের দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। গত কয়েক দিনের অবিরত বৃষ্টিপাত ও ভারত হতে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহের কারনে দেশের অভ্যন্তরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসলি সহ, সড়ক, বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি সর্বপ্রথম গত ২০ জুন বিপৎসীমার ওপরে ওঠে। যা পরের দিন ২১ জুন সকালে নেমে যায়। এর ছয়দিনের মাথায় ২৬ জুন তিস্তা নদীর পানি দ্বিতীয় দফায় পুনরায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে ২০ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে ২৮ জুন সকালে নেমে যায়। শুক্রবার (১০ জুলাই) সকাল ৬টার পর হতে ১৫ ঘণ্টায় নদীর পানি ৪৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে রাত ৯টায় বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ৬০) ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সেই সঙ্গে ঢলের পানি দ্রুতগতিতে অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে।
নতুন করে সুরমা নদীর পানি বাড়ায় সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। শুক্রবার (১০ জুলাই) বিকেলে সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সন্ধ্যায় তা বেড়ে ২৫ সেন্টিমিটারে দাঁড়ায়। এছাড়া শহরের উত্তর আরপিন নগর, বড়পাড়া, মল্লিকপুর পশ্চিম তেঘরিয়াসহ আরও কয়েকটি এলাকায় সুরমা নদীর পানি উপচে লোকালয় ঢুকছে। সুনামগঞ্জে বিকেলে বৃষ্টিপাত কম হলেও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি। এ দিকে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পয়েন্ট দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর ও পাংশার সেনগ্রাম গেজ স্টেশন পয়েন্টেও পদ্মার পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। শনিবার (১১ জুলাই) সকালে দৌলতদিয়া পয়েন্টে পানির পরিমাপ নির্ণয় করেছে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড।