নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৩-২৪ মেয়াদে নির্বাচনের দুদিনব্যাপী ভোটগ্রহণ। পূর্বঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, বুধবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
ভোট ঘিরে এদিন সকাল ৮টার আগেই সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করেন আইনজীবীরা। প্রথম দিন সাড়ে আট হাজারের বেশি আইনজীবীর ভোট দেয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে ভোটের আগের দিন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান বিচারপতি মো. মনসুরুল হক চৌধুরীর পদত্যাগ ঘিরে ভোটকেন্দ্রে কিছুটা থমথমে পরিবেশ বিরাজ করতে দেখা গেছে। ভোটারদের মাঝেও রয়েছে এক ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে বুধবার সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকেই দেখা গেছে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি। রয়েছেন সাদা পোশাকধারী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও।
গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানের পদত্যাগ ঘিরে নতুন আহ্বায়ক কে হবেন, তা নিয়ে আওয়ামীপন্থি সাদা প্যানেল ও বিএনপিপন্থি নীল প্যানেলের প্রার্থী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তাপ ছড়ায়। আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে মো. মনিরুজ্জামানকে মনোনীত করেন।
বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা এ এস এম মোকতার কবির খানকে আহ্বায়ক মনোনীত করেন। একপর্যায়ে পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল, হইচই ও হট্টগোল শুরু হয়। দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি স্লোগানও চলে। রাত আটটার দিকে আইনজীবী সমিতির তৃতীয় তলায় সেমিনার কক্ষে বক্সে রাখা ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে। যদিও এ নিয়ে নীল প্যানেলের প্রার্থী-সমর্থকদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৪টি পদের বিপরীতে ২৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৬০২ জন আইনজীবী।
এদিকে ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে বুধবার সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকেই দেখা গেছে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি। রয়েছেন সাদা পোশাকধারী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও।