মো: সাদ্দাম হোসেন: আনন্দ সিনেমা হল নিয়ে একটি প্রতিবেদন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় গত ১৩ জুন (শনিবার) ২০২০ইং তারিখে প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আলপনা ছায়াচিত্র (প্রা:) লিমিটেড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছিলো আনন্দ সিনেমা হলটি কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে তথ্য সম্পূর্ণ ভুল থাকায় ১৯ জুন (শুক্রবার) আমাদের সময় কর্তৃপক্ষ সংশোধনী প্রকাশ করে।
এই ধরনের ভুল প্রতিবেদন প্রকাশ করায় আনন্দ সিনেমা হলের দর্শক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে একটি নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে যা সিনেমা হল তথা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য ক্ষতিকর। করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে সমগ্র পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশও এক কঠিন দু:সময় অতিক্রম করছে। যার কারনে অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের মত সিনেমা হল বন্ধ থাকায় এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মচারীগণ পরিবার পরিজন নিয়ে এক অসম্ভব রকমের অসহায় জীবন যাপন করছে। তার উপর এই রকম ভুল সংবাদ জনমনে অধিক আতংক ও বিভ্রান্তি ছড়াবে যা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এক মারাত্মক আশনিসংকেত হতে পারে।
আলপনা ছায়াচিত্র (প্রা:) লিমিটেড এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারভাইজার, জেনারেল ম্যানেজার এন্ড (পিএসটু ব্যবস্থাপনা পরিচালক) জনাব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন অর্থ আদালতকে বলেন, “বাংলাদেশে সিনেমা হল তথা সিনেমা শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য একটি কুচক্রি মহল অনেক আগে থেকেই ষড়যন্ত্র করে আসছে। হল বাঁচলে সিনেমা শিল্প বাঁচবে। তাই দেশের প্রাচীনতম এই আনন্দ সিনেমা হল সহ দেশের সিনেমা হলগুলোকে বাঁচাতে হল মালিক সমিতি, প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি, শিল্পী সমিতি সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সিনেমা শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “ যেহেতু হলটি বর্তমানে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী আলপনা ছায়াচিত্র কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসনের তত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে তাই এই হলের বিষয়ে কোন প্রতিবেদন বা বক্তব্য প্রকাশের পূর্বে পুলিশ প্রশাসন এবং কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ ব্যতীত কোন ভুল তথ্য প্রচার করে দর্শক, হল সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গ ও জনমনে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।”
সেই সাথে আমাদের সময় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি ভুল সংশোধনী প্রকাশ করায় আলপনা ছায়াচিত্র (প্রা:) লিমিটেড এর পক্ষ থেকে আমাদের সময় পত্রিকাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।