নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা ১১ মামলায় হাজিরার জন্য আগামী ১৫ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এসব মামলায় খালেদা জিয়ার হাজিরার দিন ধার্য থাকলেও অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান নতুন এদিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালের প্রথম দিকে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এ ছাড়া এক ব্যক্তি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন।
খালেদা জিয়া ছাড়া এসব মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন— বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, হাবিব-উন নবী খান সোহেল ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
এ ১১ মামলার মধ্যে ১০ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি এবং যাত্রাবাড়ী থানার অপর একটি মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশালের ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি শাহীনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মো. মোখলেসুর রহমান মুকুল, মো. সাইদুল রহমান রতন, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, মো. সুলতান মাহমুদ ফকির এবং নাকিব হোসেন আদিল সরকার। এদের সবাই বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত শুরু করে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়। চার্জ গঠনের সময় আসামির সংখ্যা ছিল ৯ জন।
২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি। মোট সাক্ষ্য দেন ১৯ জন। ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্ক শেষ হলে মামলাটি যে কোনোদিন রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছিল।