নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে পাশবিক ও অমানবিক নির্যাতন করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় পাঁচ ছাত্রীকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ (১ মার্চ) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ওই পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন- ইবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মোয়াবিয়া। অন্তরা ছাড়া সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করার পর আজ বুধবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। এদিন বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়।
বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, নির্যাতিত হওয়ার পরেও অন্তরার জোরাজুরিতে ভিকটিম মুচলেকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। ভিকমটিমকে হল থেকে বিতাড়িত করতে চাপ দিলে হল প্রভোস্ট তাকে হলত্যাগের নির্দেশ দেন। পরে মুচলেকা দিতে বাধ্য করা হয়।
আদালত শুনানি নিয়ে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো আইনজীবী আছে কিনা সেটা জানতে চান।