৭ দফা দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের মহাসমাবেশ ২৬ মে

৭ দফা দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের মহাসমাবেশ ২৬ মে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নবম পে-স্কেল, ৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতাসহ সাত দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী আদায় ঐক্য পরিষদের মহাসমাবেশের তারিখ পরিবর্তন করে আগামী ২৬ মে ডাকা হয়েছে। আগামী ১২ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় এ কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তন করা হয়।

রোববার (৭ মে) বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের নির্বাহী কমিটির এক সভায় মহাসমাবেশের এই তারিখ পরিবর্তন করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

মহাসমাবেশের সমন্বয়ক ও ঐক্য পরিষদের নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেন, আমাদের মহাসমাবেশের সব ধরনের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু শহীদ মিনার যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে, তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি চাওয়া হয়। তবে ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা থাকায় কর্তৃপক্ষ অন্য কোনোদিন কর্মসূচি করার অনুরোধ করেন। এরই প্রেক্ষিতে সংগঠনের এক সভায় কর্মসূচি পেছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, বর্তমান পে কমিশন পুনর্গঠন এবং ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়াসহ সাত দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে সংগঠনটি। এসব দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিবকে একাধিকবার স্মারকলিপি দেওয়া হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর গত বছর জুন মাসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। এরপর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলার আশ্বাসে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের নেতারা।

সরকারি কর্মচারীরা বলছেন, অষ্টম পে-স্কেলে প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি পায়। এ পে-স্কেলে বলা ছিল, মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে বেতন-ভাতা সমন্বয় করে বৃদ্ধি করা হবে। কিন্তু গত ৮ বছরে বাজারে পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলেও বেতন বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশের ঘরেই রয়েছে। ২০১৫ সালের ৫ শতাংশের মুদ্রাস্ফীতি এখন ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। এরপরও ৫ শতাংশ হারেই বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তাই নবম পে-স্কেল ঘোষণা করা এখন সময়ের দাবি।

রোববার নির্বাহী কমিটির সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সভাপতি ইব্রাহিম খলিল, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন সভাপতি খন্দকার মহিউদ্দিন আহমেদ, ১৭-২০ গ্রেডের কর্মচারী সভাপতি নাসির উদ্দিন হাওলাদারসহ বিভিন্ন স্তরের সমন্বয়করা।

Loading

পোষ্টটি প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করতে পারেন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!