ঢাকা , শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যেভাবে ছাদ ফুটো করে পালিয়েছিলেন ৪ ফাঁসির আসামি

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০৪:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
  • / ৯০৫ বার পঠিত

বগুড়ায় মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাতে কারাগারের ছাদ ফুটো করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালিয়ে যান। তবে এ ঘটনার দেড় ঘণ্টার মধ্যেই কারাগারের ৫০০ মিটার দূর থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।

 

বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল আলমের ভাষ্য, জেলটি ব্রিটিশ আমলের। ছাদে কোনো রড ছিল না। কাপড় দিয়ে ওপরে উঠে তারা ছাদ ফুটো করে পালিয়েছে।

 

জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে গতরাতে তারা কনডেম সেলের ছাদ কেটে কাপড়ের রশি বানিয়ে ছাদ থেকে নেমে পালিয়ে যায়।

 

তবে আসামিদের কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে জেল সুপার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

 

পালিয়ে অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি অতি চালাক- কুড়িগ্রামের নজরুল ইসলাম মঞ্জুর, নরসিংদীর আমির হামজা, বগুড়ার কাহালুর মো. জাকারিয়া এবং বগুড়া সদরের ফরিদ শেখ। ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই কারাগার থেকে ৫০০ মিটার দূরে করতোয়া নদীর তীর থেকে তাদের আটক করে ডিবি পুলিশ।

 

এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল কায়েসকে প্রধান করে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে খবর পাই বগুড়া কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদি পালিয়েছেন। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

 

পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, জেল কর্তৃপক্ষ আমাদের বিষয়টি জানায় ৩টা ৫৬ মিনিটে। এরপর পুলিশের সব ফাঁড়ি এবং টহল দলকে অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়। ভোর সাড়ে ৪টায় সদর ফাঁড়ির সব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে পলাতক চার আসামিকে ধরে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার হতে বিরত থাকুন।

যেভাবে ছাদ ফুটো করে পালিয়েছিলেন ৪ ফাঁসির আসামি

আপডেটঃ ০৪:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

বগুড়ায় মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাতে কারাগারের ছাদ ফুটো করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালিয়ে যান। তবে এ ঘটনার দেড় ঘণ্টার মধ্যেই কারাগারের ৫০০ মিটার দূর থেকে পুলিশ তাদের আটক করে।

 

বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল আলমের ভাষ্য, জেলটি ব্রিটিশ আমলের। ছাদে কোনো রড ছিল না। কাপড় দিয়ে ওপরে উঠে তারা ছাদ ফুটো করে পালিয়েছে।

 

জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে গতরাতে তারা কনডেম সেলের ছাদ কেটে কাপড়ের রশি বানিয়ে ছাদ থেকে নেমে পালিয়ে যায়।

 

তবে আসামিদের কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জানতে জেল সুপার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

 

পালিয়ে অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি অতি চালাক- কুড়িগ্রামের নজরুল ইসলাম মঞ্জুর, নরসিংদীর আমির হামজা, বগুড়ার কাহালুর মো. জাকারিয়া এবং বগুড়া সদরের ফরিদ শেখ। ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই কারাগার থেকে ৫০০ মিটার দূরে করতোয়া নদীর তীর থেকে তাদের আটক করে ডিবি পুলিশ।

 

এদিকে এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল কায়েসকে প্রধান করে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে খবর পাই বগুড়া কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদি পালিয়েছেন। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

 

পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, জেল কর্তৃপক্ষ আমাদের বিষয়টি জানায় ৩টা ৫৬ মিনিটে। এরপর পুলিশের সব ফাঁড়ি এবং টহল দলকে অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়। ভোর সাড়ে ৪টায় সদর ফাঁড়ির সব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে পলাতক চার আসামিকে ধরে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।