ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাবিতে হঠাৎ প্রকাশ্যে ছাত্রশিবির সভাপতি

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০৩:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৮৮৫ বার পঠিত

বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ সময় পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন নেতা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করায় এ নিয়ে আলোচনা আরও তীব্র হয়েছে।

 

গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।

 

কায়েম নিজের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করলেন যখন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করার আলোচনা চলছে। এমনকি স্থায়ীভাবে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারেও প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যেই ছাত্রশিবির নেতার পরিচয় সামনে এনে কায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মহলে নানান আলোচনা-সমালোচনা হতে দেখা যাচ্ছে।

 

ছাত্রশিবিরের প্রকাশ্যে আসা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়ার ঘটনায় ইতোমধ্যেই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় অন্য রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনগুলো।

 

অন্যদিকে, শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি ঘোষণা দেওয়ার আগ পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা কায়েমকে চিনতেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সক্রিয় নেতা হিসেবে।ফলে তার নেতৃত্ব মেনে যারা মাঠে আন্দোলন করেছেন, তাদের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেন- বড় ‌‌‘অস্বস্তিতে’ পড়েছেন। বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন।

 

সোহেল বলেন, উনি যে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সেটা সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। অন্য সমন্বয়করাও বিষয়টি জানতেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, খবরটি পাওয়ার পর সমন্বয়কদের সঙ্গেও আমি যোগাযোগ করেছি। তারাও কিছু জানতো না বলে জানিয়েছেন। এখানে রাজনৈতিক পরিচয় গোপন করাটা ঠিক হয়নি বলে আমি মনে করি।

 

কায়েমের বিষয়টি জানার পর সংগঠনের বাকি সমন্বয়কদের প্রতিক্রিয়া কী? তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা নিয়ে আমরা সবাই বেশ অস্বস্তিতে পড়েছি, কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় বলতে পারেন।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে কায়েম আর কাজ করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা খুব শিগগিরই আমরা বাকি সমন্বয়করা বসবো। এরপর যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়, সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

 

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি কায়েমের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিচয় জানানোর কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঐক্য যেন হুমকির মধ্যে না পড়ে, সেজন্যই গোপন রেখেছিলাম।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার হতে বিরত থাকুন।

ঢাবিতে হঠাৎ প্রকাশ্যে ছাত্রশিবির সভাপতি

আপডেটঃ ০৩:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ সময় পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন নেতা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করায় এ নিয়ে আলোচনা আরও তীব্র হয়েছে।

 

গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।

 

কায়েম নিজের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করলেন যখন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করার আলোচনা চলছে। এমনকি স্থায়ীভাবে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারেও প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যেই ছাত্রশিবির নেতার পরিচয় সামনে এনে কায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মহলে নানান আলোচনা-সমালোচনা হতে দেখা যাচ্ছে।

 

ছাত্রশিবিরের প্রকাশ্যে আসা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়ার ঘটনায় ইতোমধ্যেই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় অন্য রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনগুলো।

 

অন্যদিকে, শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি ঘোষণা দেওয়ার আগ পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা কায়েমকে চিনতেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সক্রিয় নেতা হিসেবে।ফলে তার নেতৃত্ব মেনে যারা মাঠে আন্দোলন করেছেন, তাদের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেন- বড় ‌‌‘অস্বস্তিতে’ পড়েছেন। বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন।

 

সোহেল বলেন, উনি যে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সেটা সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। অন্য সমন্বয়করাও বিষয়টি জানতেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, খবরটি পাওয়ার পর সমন্বয়কদের সঙ্গেও আমি যোগাযোগ করেছি। তারাও কিছু জানতো না বলে জানিয়েছেন। এখানে রাজনৈতিক পরিচয় গোপন করাটা ঠিক হয়নি বলে আমি মনে করি।

 

কায়েমের বিষয়টি জানার পর সংগঠনের বাকি সমন্বয়কদের প্রতিক্রিয়া কী? তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা নিয়ে আমরা সবাই বেশ অস্বস্তিতে পড়েছি, কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় বলতে পারেন।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে কায়েম আর কাজ করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা খুব শিগগিরই আমরা বাকি সমন্বয়করা বসবো। এরপর যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়, সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

 

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি কায়েমের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিচয় জানানোর কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঐক্য যেন হুমকির মধ্যে না পড়ে, সেজন্যই গোপন রেখেছিলাম।