ঢাকা , শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করুণ পরিণতি ডেকে আনছে পাকিস্তান: ভারত

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০৩:৫৬:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৫০৯ বার পঠিত

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু এবং কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কড়া হুঁশিয়ারির পালটা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নয়াদিল্লি। তারা জানিয়েছে, ‘আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসীদের অব্যাহত সমর্থন দিয়ে পাকিস্তান অনিবার্যভাবে নিজেদের করুণ পরিণতি ডেকে আনছে।’

 

জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের ফাস্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। শাহবাজ শরীফের বক্তব্যকে ‘হঠকারী’ হিসেবে মন্তব্য করে বলেন, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসীদের অব্যাহত সমর্থন দিয়ে পাকিস্তান অনিবার্যভাবে নিজেদের করুণ পরিণতি ডেকে আনছে। খবর-এনডিটিভি

 

ভারত সরকারের ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অর্থাৎ সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সমালোচনা করায় তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভাবিকা মঙ্গলানন্দন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয়। তাদের সন্ত্রাসবাদের কথা সবারই জানা। যে দেশে মাদকের কারবার চলে তাদের কী করে সাহস হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতকে নিয়ে সমালোচনা করার।

 

তিনি বলেন, পাকিস্তানের চিত্র আসলে কেমন তা সবারই জানা। উদাহরণ হিসেবে ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে হামলা ও ২০০৮ সালে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দ্বারা মুম্বাই হামলার কথা তুলে ধরেন তিনি।

 

মঙ্গলানন্দন আরও বলেন, এই অধিবেশন দুঃখজনকভাবে আজ সকালে একটি বিভ্রান্তিকর সাক্ষী হয়েছে। সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত একটি দেশ, সন্ত্রাসবাদ, মাদক চোরাচালান এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত একটি বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশকে (ভারত) আক্রমণ করার সাহস দেখিয়েছে। বিশ্ব নিজেই দেখতে পারে পাকিস্তান আসলে কী।

 

তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে অনেক সন্ত্রাসী ঘটনায় পাকিস্তানের ‘সম্পৃক্ততা’ রয়েছে। আমাদের অবশ্যই স্পষ্ট করতে হবে যে, তার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কথাগুলো আমাদের সকলের কাছে কতটা অগ্রহণযোগ্য। আমরা জানি যে, পাকিস্তান আরও মিথ্যা দিয়ে সত্যের মোকাবিলা করতে চাইবে। এসবের পুনরাবৃত্তিতে কিছুই পরিবর্তন হবে না। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, কোনো পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন নেই।

 

সন্ত্রাসবাদ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে ‘কৌশলগত সংযম দেখানো’ নিয়ে যেকোনো আলোচনা অচল বলে ভারতের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন ভাবিকা মঙ্গলানন্দন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনো চুক্তি হতে পারে না। তিনি ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানের মাটিতে আশ্রয় এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে সংযোগসহ পাকিস্তানের অতীতের নানা কথাও উল্লেখ করেছেন।

 

এর আগে, (২৭ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেন, নয়াদিল্লি নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে আজাদ কাশ্মীর দখলের হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় ভারতকে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়ে শাহবাজ শরীফ বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যেকোনো ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবে পাকিস্তান।

 

তার ভাষণে সবচেয়ে গুরুত্ব পায় গাজা পরিস্থিতি এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিতর্কিত কাশ্মীর ইস্যু। এ নিয়ে শাহবাজ শরীফ বলেন, শান্তির দিকে অগ্রসর না হয়ে, ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে ভারত।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

error: Content is protected !!

করুণ পরিণতি ডেকে আনছে পাকিস্তান: ভারত

আপডেটঃ ০৩:৫৬:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু এবং কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কড়া হুঁশিয়ারির পালটা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নয়াদিল্লি। তারা জানিয়েছে, ‘আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসীদের অব্যাহত সমর্থন দিয়ে পাকিস্তান অনিবার্যভাবে নিজেদের করুণ পরিণতি ডেকে আনছে।’

 

জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের ফাস্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। শাহবাজ শরীফের বক্তব্যকে ‘হঠকারী’ হিসেবে মন্তব্য করে বলেন, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসীদের অব্যাহত সমর্থন দিয়ে পাকিস্তান অনিবার্যভাবে নিজেদের করুণ পরিণতি ডেকে আনছে। খবর-এনডিটিভি

 

ভারত সরকারের ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অর্থাৎ সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সমালোচনা করায় তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভাবিকা মঙ্গলানন্দন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয়। তাদের সন্ত্রাসবাদের কথা সবারই জানা। যে দেশে মাদকের কারবার চলে তাদের কী করে সাহস হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতকে নিয়ে সমালোচনা করার।

 

তিনি বলেন, পাকিস্তানের চিত্র আসলে কেমন তা সবারই জানা। উদাহরণ হিসেবে ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে হামলা ও ২০০৮ সালে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দ্বারা মুম্বাই হামলার কথা তুলে ধরেন তিনি।

 

মঙ্গলানন্দন আরও বলেন, এই অধিবেশন দুঃখজনকভাবে আজ সকালে একটি বিভ্রান্তিকর সাক্ষী হয়েছে। সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত একটি দেশ, সন্ত্রাসবাদ, মাদক চোরাচালান এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত একটি বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশকে (ভারত) আক্রমণ করার সাহস দেখিয়েছে। বিশ্ব নিজেই দেখতে পারে পাকিস্তান আসলে কী।

 

তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে অনেক সন্ত্রাসী ঘটনায় পাকিস্তানের ‘সম্পৃক্ততা’ রয়েছে। আমাদের অবশ্যই স্পষ্ট করতে হবে যে, তার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কথাগুলো আমাদের সকলের কাছে কতটা অগ্রহণযোগ্য। আমরা জানি যে, পাকিস্তান আরও মিথ্যা দিয়ে সত্যের মোকাবিলা করতে চাইবে। এসবের পুনরাবৃত্তিতে কিছুই পরিবর্তন হবে না। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, কোনো পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন নেই।

 

সন্ত্রাসবাদ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে ‘কৌশলগত সংযম দেখানো’ নিয়ে যেকোনো আলোচনা অচল বলে ভারতের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন ভাবিকা মঙ্গলানন্দন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনো চুক্তি হতে পারে না। তিনি ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানের মাটিতে আশ্রয় এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে সংযোগসহ পাকিস্তানের অতীতের নানা কথাও উল্লেখ করেছেন।

 

এর আগে, (২৭ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেন, নয়াদিল্লি নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে আজাদ কাশ্মীর দখলের হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় ভারতকে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়ে শাহবাজ শরীফ বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যেকোনো ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবে পাকিস্তান।

 

তার ভাষণে সবচেয়ে গুরুত্ব পায় গাজা পরিস্থিতি এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিতর্কিত কাশ্মীর ইস্যু। এ নিয়ে শাহবাজ শরীফ বলেন, শান্তির দিকে অগ্রসর না হয়ে, ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে ভারত।