জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক নেই: প্রেস সচিব
- আপডেটঃ ০৮:১৯:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৮৭৪ বার পঠিত
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সমুন্নত রাখার উদ্দেশ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে এই ঘোষণাপত্রের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গতকাল রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রকে আমরা বেসরকারি উদ্যোগ হিসেবে দেখছি। এর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।
এই প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।
এর আগে, সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলতি বছরের শেষ দিন, ৩১ ডিসেম্বর বেলা তিনটায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
গতকালের সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আশা প্রকাশ করেন, ৩১ ডিসেম্বর জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ‘নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে’ বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে। ঘোষণাপত্রে মুজিববাদী সংবিধান ‘কবরস্থ’ ঘোষণা করার দাবি তাদের।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা চাই, মুজিববাদী সংবিধানকে কবরস্থ ঘোষণা করা হবে। যেখান থেকে একদফার ঘোষণা দেয়া হয়েছিলো, ঠিক সেই জায়গা থেকে মুজিববাদী বাহাত্তরের সংবিধানের কবর রচিত হবে। আমরা প্রত্যাশা রাখছি, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে সাধারণ মানুষ যেভাবে রাস্তায় নেমে এসেছিলো, ঠিক তেমনিভাবে ৩১ ডিসেম্বর আবারও মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। ওই দিন জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে। এই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র পাঁচ আগস্ট হওয়া উচিত ছিলো। এটি না হওয়ার কারণে স্বৈরাচারের দোসররা সক্রিয় রয়েছে।










