ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় সম্মত ট্রাম্প-পুতিন

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০৪:২৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৭৭৮ বার পঠিত

চলমান ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

 

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ফোনালাপের পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প নিজেই। এ আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন ট্রাম্প।

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি ও পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে প্রাণহানি বন্ধে রাজি হয়েছেন।

 

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেছেন, “আমরা ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য, জ্বালানি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডলারের শক্তি এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।”

 

তিনি বলেন, তারা প্রত্যেকে তাদের দেশের শক্তি এবং সেই “মহান সুবিধা” সম্পর্কে কথা বলেছেন যে তাদের একদিন একসাথে কাজ করতে হবে।

 

ট্রাম্প আরও বলেন, “কিন্তু প্রথমে আমরা উভয়ে একমত হয়েছি, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে যে লাখ লাখ মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে তা আমরা বন্ধ করতে চাই। প্রেসিডেন্ট পুতিন আমার খুব প্রচারাভিযানের শক্তিশালী নীতিবাক্য ব্যবহার করেছেন, ‘কমন সেন্স’। আমরা উভয়েই এটিতে খুব দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”

 

তিনি বলেন, “আমরা একে অপরের দেশে সফরে যাওয়াসহ, খুব ঘনিষ্ঠভাবে একসাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছি। আমরা আমাদের নিজ নিজ দলগুলোকে অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে দিতে সম্মত হয়েছি এবং সেটা আমরা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ফোন করে তাকে কথোপকথনের বিষয়ে অবহিত করার মাধ্যমে শুরু করব, যা আমি এখনই করব।”

 

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, সিআইএ পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজ এবং তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে আলোচনার নেতৃত্ব দিতে বলেছেন।

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে আলোচনা “সফল” হবে।

 

দ্বিতীয়বার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় ফিরেই ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের অবসান চান। এক মাস যেতে না যেতেই সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

 

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার হতে বিরত থাকুন।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় সম্মত ট্রাম্প-পুতিন

আপডেটঃ ০৪:২৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চলমান ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

 

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ফোনালাপের পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প নিজেই। এ আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন ট্রাম্প।

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি ও পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে প্রাণহানি বন্ধে রাজি হয়েছেন।

 

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেছেন, “আমরা ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য, জ্বালানি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডলারের শক্তি এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।”

 

তিনি বলেন, তারা প্রত্যেকে তাদের দেশের শক্তি এবং সেই “মহান সুবিধা” সম্পর্কে কথা বলেছেন যে তাদের একদিন একসাথে কাজ করতে হবে।

 

ট্রাম্প আরও বলেন, “কিন্তু প্রথমে আমরা উভয়ে একমত হয়েছি, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে যে লাখ লাখ মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে তা আমরা বন্ধ করতে চাই। প্রেসিডেন্ট পুতিন আমার খুব প্রচারাভিযানের শক্তিশালী নীতিবাক্য ব্যবহার করেছেন, ‘কমন সেন্স’। আমরা উভয়েই এটিতে খুব দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।”

 

তিনি বলেন, “আমরা একে অপরের দেশে সফরে যাওয়াসহ, খুব ঘনিষ্ঠভাবে একসাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছি। আমরা আমাদের নিজ নিজ দলগুলোকে অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে দিতে সম্মত হয়েছি এবং সেটা আমরা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ফোন করে তাকে কথোপকথনের বিষয়ে অবহিত করার মাধ্যমে শুরু করব, যা আমি এখনই করব।”

 

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, সিআইএ পরিচালক জন র‍্যাটক্লিফ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজ এবং তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে আলোচনার নেতৃত্ব দিতে বলেছেন।

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে আলোচনা “সফল” হবে।

 

দ্বিতীয়বার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় ফিরেই ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের অবসান চান। এক মাস যেতে না যেতেই সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

 

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।