ঢাকা , সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ, জড়িত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০৫:৫৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৩১ বার পঠিত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ থাকবে। আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৩তম সভায় ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পূর্বের ঘোষণা কঠোরভাবে অনুসরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। এ ঘটনায় দুপুরে কুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়। হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরিফুল আলম।

 

সাত একাডেমিক ভবনে তালা: এদিকে কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনসহ সাত একাডেমিক ভবন তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে আজ বুধবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা। হয়নি কোনো ক্লাস-পরীক্ষা। দুপুর ১টার মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা তালা ঝুলিয়ে দেন।

 

তদন্ত কমিটি: আজকের সিন্ডিকেট সভায় ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়েছে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম এম এ হাসেমকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়,সংঘর্ষে জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আর জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে। ক্যাম্পাস এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

কোনো মামলা হয়নি: খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (নর্থ) মো. নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়নি এখনও। ক্যাম্পাসের গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

error: Content is protected !!

কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ, জড়িত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

আপডেটঃ ০৫:৫৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ থাকবে। আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৩তম সভায় ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পূর্বের ঘোষণা কঠোরভাবে অনুসরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। এ ঘটনায় দুপুরে কুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়। হামলায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরিফুল আলম।

 

সাত একাডেমিক ভবনে তালা: এদিকে কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনসহ সাত একাডেমিক ভবন তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে আজ বুধবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা। হয়নি কোনো ক্লাস-পরীক্ষা। দুপুর ১টার মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা তালা ঝুলিয়ে দেন।

 

তদন্ত কমিটি: আজকের সিন্ডিকেট সভায় ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়েছে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম এম এ হাসেমকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়,সংঘর্ষে জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আর জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে। ক্যাম্পাস এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

কোনো মামলা হয়নি: খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (নর্থ) মো. নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়নি এখনও। ক্যাম্পাসের গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।