ঢাকা , বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রবাসীদের সমস্যা ও নতুন শ্রম বাজার তৈরিতে এনআরবি

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০১:০০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • / ৮৪৬ বার পঠিত

প্রবাসীদের সমস্যা, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও নতুন শ্রম বাজার তৈরিতে এনআরবির সংবাদ সম্মেলন।

 

আজ সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সংবাদ সম্মেলন করেন এনআরবি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মিজানুর রহমান

 

রাইটস মুভমেন্ট’র ৯ দফা প্রস্তাবনা করেনঃ

 

ব্যারিস্টার মিজানুর রহমান বলেন, আমরা যারা এনআরবি আছি, নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশি, একসময়ে আমাদের কোন হক বা রাইট ছিল না। আমরা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, দিরহাম রেমিটেন্স পাঠিয়েছি বাংলাদেশে। বিনিময়ে আমরা কিছু পাইনি। আমাদের কোন ভোটাধিকার নাই। বেসিক কোন অধিকার নাই- আমরা যারা বিভিন্ন দেশে থাকি। আমি এসব বিষয়ে আপনাদের সামনে কথা বলতে এসেছি আমার কিছু বক্তব্য তুলে ধরতে চাই।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রিয় স্বদেশ বাংলাদেশকে রেখে কাজের প্রয়োজনে হাজার হাজার মাইল দূরে থাকি। তবে দেশের জন্য আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রয়েছে। চেষ্টা করি দেশের জন্য দেশের স্বজনদের জন্য ভাল কিছু করার। কিন্তু কাজগুলোকে আরো ত্বরান্নিত করতে প্রথমত, আমাদের ভোটের অধিকার থাকতে হবে। যাতে আমরা বিদেশে থেকে ভোট দিতে পারি। অনেকদিন ধরেই এ নিয়ে কথাবার্তা চলছে কিন্তু সেটার কোনো বাস্তবায়ন হয়নি।

 

দফা দ্বিতীয়ত, আমরা যারা বিদেশে থাকি, দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে তাদেরও সুযোগ দিতে হবে পার্লামেন্টের মেম্বার হওয়ার।

 

তৃতীয় বিষয় হলো, যে সকল এনআরবির সন্তানেরা বিদেশে জন্মগ্রহণ করেছে, তাদের বাংলাদেশে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে নানা হয়রানির শিকার হয়। তারা যাতে এই হয়রানির শিকার না হয়, সেই রাইট দিতে হবে।

 

চতুর্থত, যারা বিদেশ থেকে আসছে তাদেরকে যেন আলাদা চোখে না দেখা হয়, তাকে যেন তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা না হয়।

 

পঞ্চম দাবী, যারা বিদেশে থাকে তারা হয়রানির শিকার হয় কোর্ট কাচারির মাধ্যমে, তাদের জন্য আলাদা ট্রাইবুনাল গঠন করতে হবে।

 

৬ষ্ঠ দাবী হল এয়ারপোর্টে নামার পর যেন কোন হয়রানের শিকার হতে না হয় কোন প্রবাসীকে। তাদেরকে যেন এয়ারপোর্টে সঠিক সম্মান করা হয়, কোন রকমে তাদের প্রতি আক্রমণ না হয়।

 

onel seas Respect should be shown to all oversis Bangladeshi citizen in every sector -যেকোনো সেক্টরে হোক, যেখানেই হোক, সব জায়গায় তাদের সম্মান দিতে হবে। শুধু এয়ারপোর্টে নয়, অফিস আদালত যেখানেই হোক, সব স্তরে সম্মান দিতে হবে।

 

সপ্তম যে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ন, তাহলো Overseas Bangladeshi should have vvip counter in airport যারা বাংলাদেশী প্রবাসী বিভিন্ন দেশ থেকে আসে তাদের জন্য এয়ারপোর্টে একটা আলাদা ভিভিআইপি কাউন্টার থাকা উচিত, যাতে তারা বাংলাদেশে এসে কোন হ্যাসেল পোহাতে না হয়। বাংলাদেশীদের সন্তানেরা যখন প্রথম বাংলাদেশে আসে তখন যেন তারা হাসাল ফ্রী ভাবে দেশে ঢুকতে পারে, দেশের পরিবেশ সম্পর্কে ভালো ধারণা পাই।অষ্টম বিষয় হলো, প্রবাসীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে তারা সুচিকিৎসা পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

 

এমন সব সমস্যা সমাধানের জন্য, নবম যে দাবী সেটি হলো, যারা বিদেশে দীর্ঘদিন থাকছেন বা থাকে তাদের মধ্যে একজনকে শ্রম মন্ত্রণালয় বা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হোক। যেহেতু উনি বিদেশ থাকেন, উনার অভিজ্ঞতা আছে। আর যারা বিদেশে থাকার অভিজ্ঞতা নাই, তাদেরকে দায়িত্ব দিলে তারা সেভাবে কাজ ফুলফিল করতে পারেন না। প্রবাসীদের ফিলিংটা তাদের মধ্যে সেভাবে কাজ করে না অনেক ক্ষেত্রেই।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার হতে বিরত থাকুন।

প্রবাসীদের সমস্যা ও নতুন শ্রম বাজার তৈরিতে এনআরবি

আপডেটঃ ০১:০০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

প্রবাসীদের সমস্যা, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও নতুন শ্রম বাজার তৈরিতে এনআরবির সংবাদ সম্মেলন।

 

আজ সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সংবাদ সম্মেলন করেন এনআরবি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মিজানুর রহমান

 

রাইটস মুভমেন্ট’র ৯ দফা প্রস্তাবনা করেনঃ

 

ব্যারিস্টার মিজানুর রহমান বলেন, আমরা যারা এনআরবি আছি, নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশি, একসময়ে আমাদের কোন হক বা রাইট ছিল না। আমরা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, দিরহাম রেমিটেন্স পাঠিয়েছি বাংলাদেশে। বিনিময়ে আমরা কিছু পাইনি। আমাদের কোন ভোটাধিকার নাই। বেসিক কোন অধিকার নাই- আমরা যারা বিভিন্ন দেশে থাকি। আমি এসব বিষয়ে আপনাদের সামনে কথা বলতে এসেছি আমার কিছু বক্তব্য তুলে ধরতে চাই।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রিয় স্বদেশ বাংলাদেশকে রেখে কাজের প্রয়োজনে হাজার হাজার মাইল দূরে থাকি। তবে দেশের জন্য আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রয়েছে। চেষ্টা করি দেশের জন্য দেশের স্বজনদের জন্য ভাল কিছু করার। কিন্তু কাজগুলোকে আরো ত্বরান্নিত করতে প্রথমত, আমাদের ভোটের অধিকার থাকতে হবে। যাতে আমরা বিদেশে থেকে ভোট দিতে পারি। অনেকদিন ধরেই এ নিয়ে কথাবার্তা চলছে কিন্তু সেটার কোনো বাস্তবায়ন হয়নি।

 

দফা দ্বিতীয়ত, আমরা যারা বিদেশে থাকি, দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে তাদেরও সুযোগ দিতে হবে পার্লামেন্টের মেম্বার হওয়ার।

 

তৃতীয় বিষয় হলো, যে সকল এনআরবির সন্তানেরা বিদেশে জন্মগ্রহণ করেছে, তাদের বাংলাদেশে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে নানা হয়রানির শিকার হয়। তারা যাতে এই হয়রানির শিকার না হয়, সেই রাইট দিতে হবে।

 

চতুর্থত, যারা বিদেশ থেকে আসছে তাদেরকে যেন আলাদা চোখে না দেখা হয়, তাকে যেন তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা না হয়।

 

পঞ্চম দাবী, যারা বিদেশে থাকে তারা হয়রানির শিকার হয় কোর্ট কাচারির মাধ্যমে, তাদের জন্য আলাদা ট্রাইবুনাল গঠন করতে হবে।

 

৬ষ্ঠ দাবী হল এয়ারপোর্টে নামার পর যেন কোন হয়রানের শিকার হতে না হয় কোন প্রবাসীকে। তাদেরকে যেন এয়ারপোর্টে সঠিক সম্মান করা হয়, কোন রকমে তাদের প্রতি আক্রমণ না হয়।

 

onel seas Respect should be shown to all oversis Bangladeshi citizen in every sector -যেকোনো সেক্টরে হোক, যেখানেই হোক, সব জায়গায় তাদের সম্মান দিতে হবে। শুধু এয়ারপোর্টে নয়, অফিস আদালত যেখানেই হোক, সব স্তরে সম্মান দিতে হবে।

 

সপ্তম যে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ন, তাহলো Overseas Bangladeshi should have vvip counter in airport যারা বাংলাদেশী প্রবাসী বিভিন্ন দেশ থেকে আসে তাদের জন্য এয়ারপোর্টে একটা আলাদা ভিভিআইপি কাউন্টার থাকা উচিত, যাতে তারা বাংলাদেশে এসে কোন হ্যাসেল পোহাতে না হয়। বাংলাদেশীদের সন্তানেরা যখন প্রথম বাংলাদেশে আসে তখন যেন তারা হাসাল ফ্রী ভাবে দেশে ঢুকতে পারে, দেশের পরিবেশ সম্পর্কে ভালো ধারণা পাই।অষ্টম বিষয় হলো, প্রবাসীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে তারা সুচিকিৎসা পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

 

এমন সব সমস্যা সমাধানের জন্য, নবম যে দাবী সেটি হলো, যারা বিদেশে দীর্ঘদিন থাকছেন বা থাকে তাদের মধ্যে একজনকে শ্রম মন্ত্রণালয় বা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হোক। যেহেতু উনি বিদেশ থাকেন, উনার অভিজ্ঞতা আছে। আর যারা বিদেশে থাকার অভিজ্ঞতা নাই, তাদেরকে দায়িত্ব দিলে তারা সেভাবে কাজ ফুলফিল করতে পারেন না। প্রবাসীদের ফিলিংটা তাদের মধ্যে সেভাবে কাজ করে না অনেক ক্ষেত্রেই।