ঢাকা , শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বপদে বহাল চান ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেটঃ ০৪:৩২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / ৮৬৯ বার পঠিত

স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ ইং নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানগণকে স্বপদে বহাল  চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

 

আজ ০৭মে বুধবার, জাতীয় প্রেসক্লাব এর মওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে সকাল ১১.০০ ঘটিকায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তাগণ বলেনঃ আমরা সমগ্র বাংলাদেশে ৬ষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ ইং বিভিন্ন ধাপে স্বতন্ত্রভাবে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ থেকে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা চেয়ারম্যানবৃন্দের পক্ষে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। প্রথমেই আপনাদেরকে জানাই আসসালামু আলাইকুম ও আদাব। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আপনারা খুবই ব্যস্ত সময় পার করে যাচ্ছেন। শত ব্যস্ততার পরেও আপনারা আমাদের ডাকে হাজির হয়েছেন। আমাদের অন্তরের অন্তস্থল থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, ২০২৪ সালের ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্বতন্ত্রভাবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষভাবে বিভিন্ন ধাপে মেয়াদ উত্তীর্ণ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অনেকগুলি উপজেলার মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়াতে নির্বাচন হয় নাই। উক্ত নির্বাচনে দলীয় কোন মনোগ্রাম, মনোনয়ন ও দলীয় প্রতীক ছিলো না। ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আমরা বিজয় অর্জন করে শপথ গ্রহন করে অনেকেই উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম শুরু করেন। হঠাৎ বিগত ১৮ আগস্ট ও ১৯ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-১ শাখার পত্রে উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর ধারা ১৩ (ঘ) প্রয়োগ করে সারা বাংলাদেশের ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানান ও ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে। স্থানীয় সরকার বিভাগের অন্য স্বারক ও পত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণকে সাময়িকভাবে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অপর্ণ করা হয়। যা খুবই দুঃখজনক।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ মাঠ পর্যায়ে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়েই সর্বদা ব্যস্ত থাকেন। ইচ্ছা করলেই জনগণের সাথে তাদের গভীরতম সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয় না। যার ফলে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম রাষ্ট্র ও সরকার কর্তৃক নির্দেশিত সকল আদেশ ও নির্দেশ বাস্তবায়নে প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগ ও হ-য-ব-র-ল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি গ্রামীন জনগোষ্টি নাগরিক সেবা প্রতি নিয়ত বিঘ্ন হচ্ছে যাহা সোশাল মিডিয়া স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ বিভিন্ন অনলাইনে প্রকাশিত হয়। ইতিমধ্যে জাতি তাহা পর্যবেক্ষণ করেছে। তৃণমূল জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠান হচ্ছে উপজেলা পরিষদ।

 

আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, তৃনমূল জনগনের আস্থা ও সচ্ছতার প্রতীক উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধিগনকে একটি প্রজ্ঞাপন ধারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কোন ব্যাখা ও শুনানি ছাড়া একটি নির্বাহী আদেশে অপসারন করা হয়। যা স্বাধীন সাবভৌম বাংলাদেশের সংবিধানের ২৬, ২৭, ৩১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

 

প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ আপদকালীন সময়ে উপজেলা পরিষদ জনগণের সাথে কাজ করে। দীর্ঘদিন প্রশাসক দিয়ে উপজেলা পরিষদে জনগণের সেবা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। জনগণ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। স্থানীয় সরকার উপজেলা পরিষদ আইন ব্যতিরেকে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানগণকে অব্যহতি প্রদান স্থানীয় সরকারের মূল আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। যেখানে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার (স্থানীয়সরকার কমিশন গঠন করে) কাজ করে যাচ্ছে। সেখানে স্থানীয় সরকারের শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানগণকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

 

সারা বাংলাদেশে বিগত সরকারের আমলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ বহাল তবিয়তে আছে। ইতিমধ্যে আপনারা জানেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও মহানগর বিএনপি নেতা শপথ গ্রহণ করে মেয়র হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যিনি এখন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছেন। এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা হতভাক হয়েছি। এই বিষয়গুলি বৈষম্য নয় কী? আমরা আজকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে শ্রদ্ধার সাথে আপনাদের মাধ্যমে সরকারকে জানাতে চাই, বিগত ৬ষ্ঠ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়। জনগণের স্বত্বঃসফুর্ত অংশগ্রহণ ছিলো। অন্তর্বর্তী সরকার আসলে কি চায়? তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। ২৪শের অভ্যুত্থানের ১৩ দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে উপজেলা পরিষদ বাতিল করা হলো। আজ প্রশ্ন হচ্ছে কেন বাতিল হল। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এটাই কি আমাদের অপরাধ। না, এটা আমাদের অর্জন। আমরা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা তার দোসর নেতা এবং কথিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নামধারী আওয়ামী ক্যাডারদের দেখানো ভয়ভীতি তথা রক্তচক্ষু উপেক্ষাকরে স্বতন্ত্রভাবে ভোটের মাঠে ভোটযুদ্ধে লড়াই করে জনগনের ভোটে জয়লাভ করেছি। আমরা সাহসিকতার সাথে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বিনয়ের সাথে বলবো, আপনাদের অধীনেও অবাধ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইনশাআল্লাহ জনগনের ভোটে ফের বিজয়ী হবো, তার ব্যত্যয় ঘটবে না।.

 

এমতাবস্থায়, গণতন্ত্রের ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে এবং তৃণমূল জনগণের গণ কল্যাণে জনস্বার্থে সার্বিক দিক বিবেচনা করে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের সকল আদেশ-নির্দেশ মাঠ পর্যায়ে সফলভাবে বাস্তবায়নের স্বার্থে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত বাংলাদেশের সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানগণকে পুনরায় স্বপদে বহাল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনাদের মাধ্যমে আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

 

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি গাজীপুর সদর উপজেলা অপসারিত চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান চৌধুরী মিলন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মস্তাক আহমেদ পলাশ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন। কানাইঘাট উপজেলা সিলেট। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফোরাম এর আহ্বায়ক লায়লা বানু ও সদস্য সচিব মোঃ হানিফ আহমেদ। অধ্যাপক আক্তারুজ্জামান টিটব লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান ভোলা। সুপার জ্যোতি চাকমা লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান খাগড়াছড়ি। মাওলানা আনোয়ার হোসেন বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ।মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন গোমস্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান চাঁপাইনবাবগঞ্জ। শাহ আলম স্বপন গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান সিলেট। সাইফুল ইসলাম টিপু হরিণাকুন্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান ঝিনাইদহ।মোঃ শাহজাহান আলী সাজু সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মানিকগঞ্জ। মোহাম্মদ আজিজ ভূঁইয়া নড়াইল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান। আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার সবুজ ধনবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান টাঙ্গাইল। মোহাম্মদ মশিউর রহমান সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান। আল ফেরদৌস আলফা দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান সাতক্ষীরা। হাসান মুরসালিন তেরাখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান খুলনা। মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বাগাতিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান নাটোর। এস এম হাবিব রুপসা উপজেলা চেয়ারম্যান খুলনা। মহম্মদ আব্দুল্লাহ শিকদার ভাইস চেয়ারম্যান রামু উপজেলা কক্সবাজার। মোহাম্মদ রানা মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান সাটুরিয়া উপজেলা মানিকগঞ্জ।মো: ফেদাউর রহমান ভাইস চেয়ারম্যান সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা। মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন ভাইস চেয়ারম্যান পলাশবাড়ী উপজেলা গাইবান্ধা।

ট্যাগঃ

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার হতে বিরত থাকুন।

স্বপদে বহাল চান ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ

আপডেটঃ ০৪:৩২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ ইং নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানগণকে স্বপদে বহাল  চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

 

আজ ০৭মে বুধবার, জাতীয় প্রেসক্লাব এর মওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে সকাল ১১.০০ ঘটিকায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তাগণ বলেনঃ আমরা সমগ্র বাংলাদেশে ৬ষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ ইং বিভিন্ন ধাপে স্বতন্ত্রভাবে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ থেকে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা চেয়ারম্যানবৃন্দের পক্ষে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। প্রথমেই আপনাদেরকে জানাই আসসালামু আলাইকুম ও আদাব। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আপনারা খুবই ব্যস্ত সময় পার করে যাচ্ছেন। শত ব্যস্ততার পরেও আপনারা আমাদের ডাকে হাজির হয়েছেন। আমাদের অন্তরের অন্তস্থল থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, ২০২৪ সালের ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্বতন্ত্রভাবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষভাবে বিভিন্ন ধাপে মেয়াদ উত্তীর্ণ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অনেকগুলি উপজেলার মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়াতে নির্বাচন হয় নাই। উক্ত নির্বাচনে দলীয় কোন মনোগ্রাম, মনোনয়ন ও দলীয় প্রতীক ছিলো না। ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আমরা বিজয় অর্জন করে শপথ গ্রহন করে অনেকেই উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম শুরু করেন। হঠাৎ বিগত ১৮ আগস্ট ও ১৯ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-১ শাখার পত্রে উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর ধারা ১৩ (ঘ) প্রয়োগ করে সারা বাংলাদেশের ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানান ও ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে। স্থানীয় সরকার বিভাগের অন্য স্বারক ও পত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণকে সাময়িকভাবে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অপর্ণ করা হয়। যা খুবই দুঃখজনক।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ মাঠ পর্যায়ে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়েই সর্বদা ব্যস্ত থাকেন। ইচ্ছা করলেই জনগণের সাথে তাদের গভীরতম সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয় না। যার ফলে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম রাষ্ট্র ও সরকার কর্তৃক নির্দেশিত সকল আদেশ ও নির্দেশ বাস্তবায়নে প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগ ও হ-য-ব-র-ল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি গ্রামীন জনগোষ্টি নাগরিক সেবা প্রতি নিয়ত বিঘ্ন হচ্ছে যাহা সোশাল মিডিয়া স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সহ বিভিন্ন অনলাইনে প্রকাশিত হয়। ইতিমধ্যে জাতি তাহা পর্যবেক্ষণ করেছে। তৃণমূল জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিষ্ঠান হচ্ছে উপজেলা পরিষদ।

 

আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, তৃনমূল জনগনের আস্থা ও সচ্ছতার প্রতীক উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধিগনকে একটি প্রজ্ঞাপন ধারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কোন ব্যাখা ও শুনানি ছাড়া একটি নির্বাহী আদেশে অপসারন করা হয়। যা স্বাধীন সাবভৌম বাংলাদেশের সংবিধানের ২৬, ২৭, ৩১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

 

প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ আপদকালীন সময়ে উপজেলা পরিষদ জনগণের সাথে কাজ করে। দীর্ঘদিন প্রশাসক দিয়ে উপজেলা পরিষদে জনগণের সেবা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। জনগণ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। স্থানীয় সরকার উপজেলা পরিষদ আইন ব্যতিরেকে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানগণকে অব্যহতি প্রদান স্থানীয় সরকারের মূল আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। যেখানে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার (স্থানীয়সরকার কমিশন গঠন করে) কাজ করে যাচ্ছে। সেখানে স্থানীয় সরকারের শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানগণকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

 

সারা বাংলাদেশে বিগত সরকারের আমলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ বহাল তবিয়তে আছে। ইতিমধ্যে আপনারা জানেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও মহানগর বিএনপি নেতা শপথ গ্রহণ করে মেয়র হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যিনি এখন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছেন। এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা হতভাক হয়েছি। এই বিষয়গুলি বৈষম্য নয় কী? আমরা আজকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে শ্রদ্ধার সাথে আপনাদের মাধ্যমে সরকারকে জানাতে চাই, বিগত ৬ষ্ঠ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়। জনগণের স্বত্বঃসফুর্ত অংশগ্রহণ ছিলো। অন্তর্বর্তী সরকার আসলে কি চায়? তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। ২৪শের অভ্যুত্থানের ১৩ দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে উপজেলা পরিষদ বাতিল করা হলো। আজ প্রশ্ন হচ্ছে কেন বাতিল হল। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এটাই কি আমাদের অপরাধ। না, এটা আমাদের অর্জন। আমরা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা তার দোসর নেতা এবং কথিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নামধারী আওয়ামী ক্যাডারদের দেখানো ভয়ভীতি তথা রক্তচক্ষু উপেক্ষাকরে স্বতন্ত্রভাবে ভোটের মাঠে ভোটযুদ্ধে লড়াই করে জনগনের ভোটে জয়লাভ করেছি। আমরা সাহসিকতার সাথে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বিনয়ের সাথে বলবো, আপনাদের অধীনেও অবাধ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইনশাআল্লাহ জনগনের ভোটে ফের বিজয়ী হবো, তার ব্যত্যয় ঘটবে না।.

 

এমতাবস্থায়, গণতন্ত্রের ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে এবং তৃণমূল জনগণের গণ কল্যাণে জনস্বার্থে সার্বিক দিক বিবেচনা করে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের সকল আদেশ-নির্দেশ মাঠ পর্যায়ে সফলভাবে বাস্তবায়নের স্বার্থে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত বাংলাদেশের সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানগণকে পুনরায় স্বপদে বহাল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনাদের মাধ্যমে আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

 

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি গাজীপুর সদর উপজেলা অপসারিত চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান চৌধুরী মিলন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মস্তাক আহমেদ পলাশ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন। কানাইঘাট উপজেলা সিলেট। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফোরাম এর আহ্বায়ক লায়লা বানু ও সদস্য সচিব মোঃ হানিফ আহমেদ। অধ্যাপক আক্তারুজ্জামান টিটব লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান ভোলা। সুপার জ্যোতি চাকমা লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান খাগড়াছড়ি। মাওলানা আনোয়ার হোসেন বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ।মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন গোমস্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান চাঁপাইনবাবগঞ্জ। শাহ আলম স্বপন গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান সিলেট। সাইফুল ইসলাম টিপু হরিণাকুন্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান ঝিনাইদহ।মোঃ শাহজাহান আলী সাজু সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মানিকগঞ্জ। মোহাম্মদ আজিজ ভূঁইয়া নড়াইল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান। আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার সবুজ ধনবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান টাঙ্গাইল। মোহাম্মদ মশিউর রহমান সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান। আল ফেরদৌস আলফা দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান সাতক্ষীরা। হাসান মুরসালিন তেরাখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান খুলনা। মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বাগাতিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান নাটোর। এস এম হাবিব রুপসা উপজেলা চেয়ারম্যান খুলনা। মহম্মদ আব্দুল্লাহ শিকদার ভাইস চেয়ারম্যান রামু উপজেলা কক্সবাজার। মোহাম্মদ রানা মল্লিক ভাইস চেয়ারম্যান সাটুরিয়া উপজেলা মানিকগঞ্জ।মো: ফেদাউর রহমান ভাইস চেয়ারম্যান সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা। মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন ভাইস চেয়ারম্যান পলাশবাড়ী উপজেলা গাইবান্ধা।