ঢাকা , বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহাখালীর তামাক কারখানা শহরের বাইরে স্থানান্তরের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেটঃ ০৭:৫৮:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • / ৮৬১ বার পঠিত

ঢাকা শহরের পরিবেশ বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, জলাশয় দখল ও দূষণসহ বিভিন্ন রকমের দূষণে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত। এর ওপর যুক্ত হচ্ছে সিগারেটের ক্ষতিকারক রাসায়নিক দূষণ। এই দূষণ রোধে সিগারেট উৎপাদনকারী বহুজাতিক ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির (বিএটিবি) কারখানাটি ঢাকা শহরের আবাসিক এলাকা থেকে সরানোর দাবি তুলেছে পরিবেশবাদী সংগঠন সহ তামাক বিরোধী বিভিন্ন সংগঠন।

 

আজ রবিবার, ১৮ মে ২০২৫ সকাল ১০ ঘটিকায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ মহাখালীস্থ তামাক কারখানা অবিলম্বে শহরের বাইরে স্থানান্তরের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

 

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্ববয় কারী আবু নাসের অনিক তার বক্তব্যে বলেন, কারখানা থেকে নির্গত তামাকের হাজার হাজার ক্ষতিকর রাসায়নিক বাতাসকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে চলেছে। প্রাণঘাতী ও পরিবেশ বিধ্বংসী তামাক কারখানা ঢাকার মহাখালী ডিওএইচএস এলাকার পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী। অবিলম্বে এ তামাক কারখানা শহরের অভ্যন্তর থেকে সরানো জরুরি।

ধূমপান ও মাদক বিরোধী ফাউন্ডেশন এর প্রধান নির্বাহী আলীউল এ. রাজু  তার বক্তব্যে বলেন, তামাকের মধ্যে হাজার হাজার ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। বর্তমান ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে এই তামাক কারখানার কারণে মহাখালী ডিওএইচএস আবাসিক এলাকা ও তার আশেপাশের বাতাসে নিকোটিনসহ ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ছড়িয়ে পড়ে প্রতিনিয়ত। এতে এখানে অবস্থিত বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে এলাকার শিশু-নারী-বৃদ্ধ সবার ওপর বিরূপ স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এজন্য আবাসিক এলাকা থেকে ক্ষতিকর এই সিগারেট কারখানা সরানো এখন সময়ের দাবি।

 

উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালে যখন ঢাকার মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় বিএটিবির তামাক কারখানা স্থাপন করা হয়, তখন এটি একটি গ্রামীণ জনপদ ছিল। মূল শহরের অংশ ছিল না। ক্রমান্বয়ে মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক ও পর্যায়ক্রমে মিশ্র-আবাসিক এলাকায় পরিণত হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার শিশু লেখাপড়া করে। কিন্তু ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি (বিএটিবি) তামাক কারখানা থেকে নির্গত তামাকের রাসায়নিকের কারণে মহাখালী সহ আসেপাশের বাতাস দূষিত হচ্ছে, শিশুদের শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে। এজন্য আবাসিক এলাকা থেকে ক্ষতিকর সিগারেট কারখানা সরানো সময়ের দাবি। তামাক কারখানার মতো ক্ষতিকর একটি কারখানা কিভাবে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকায় এখনো কার্যক্রম পরিচালনা করছে, সেটা নিয়েও বক্তাগণ প্রশ্ন তোলেন। কিভাবে এই কারখানা পরিবেশ ছাড়পত্র বা অন্যান্য অনুমতি পায় তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বক্তাগণ।

 

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের উদ্যোগে এইড ফাউন্ডেশন, টিসিআরসি, ডাস, নাটাব, ধূমপান ও মাদক বিরোধী ফাউন্ডেশন, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি, মানস, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, প্রত্যাশা, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), পাবলিক হেলথ ল’ইয়ার নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যাডভোকেটস (বিটিসিএ), বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) এবং বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।

 

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার হতে বিরত থাকুন।

মহাখালীর তামাক কারখানা শহরের বাইরে স্থানান্তরের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আপডেটঃ ০৭:৫৮:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

ঢাকা শহরের পরিবেশ বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, জলাশয় দখল ও দূষণসহ বিভিন্ন রকমের দূষণে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত। এর ওপর যুক্ত হচ্ছে সিগারেটের ক্ষতিকারক রাসায়নিক দূষণ। এই দূষণ রোধে সিগারেট উৎপাদনকারী বহুজাতিক ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির (বিএটিবি) কারখানাটি ঢাকা শহরের আবাসিক এলাকা থেকে সরানোর দাবি তুলেছে পরিবেশবাদী সংগঠন সহ তামাক বিরোধী বিভিন্ন সংগঠন।

 

আজ রবিবার, ১৮ মে ২০২৫ সকাল ১০ ঘটিকায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ মহাখালীস্থ তামাক কারখানা অবিলম্বে শহরের বাইরে স্থানান্তরের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

 

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্ববয় কারী আবু নাসের অনিক তার বক্তব্যে বলেন, কারখানা থেকে নির্গত তামাকের হাজার হাজার ক্ষতিকর রাসায়নিক বাতাসকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে চলেছে। প্রাণঘাতী ও পরিবেশ বিধ্বংসী তামাক কারখানা ঢাকার মহাখালী ডিওএইচএস এলাকার পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী। অবিলম্বে এ তামাক কারখানা শহরের অভ্যন্তর থেকে সরানো জরুরি।

ধূমপান ও মাদক বিরোধী ফাউন্ডেশন এর প্রধান নির্বাহী আলীউল এ. রাজু  তার বক্তব্যে বলেন, তামাকের মধ্যে হাজার হাজার ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। বর্তমান ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে এই তামাক কারখানার কারণে মহাখালী ডিওএইচএস আবাসিক এলাকা ও তার আশেপাশের বাতাসে নিকোটিনসহ ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ছড়িয়ে পড়ে প্রতিনিয়ত। এতে এখানে অবস্থিত বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে এলাকার শিশু-নারী-বৃদ্ধ সবার ওপর বিরূপ স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এজন্য আবাসিক এলাকা থেকে ক্ষতিকর এই সিগারেট কারখানা সরানো এখন সময়ের দাবি।

 

উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালে যখন ঢাকার মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় বিএটিবির তামাক কারখানা স্থাপন করা হয়, তখন এটি একটি গ্রামীণ জনপদ ছিল। মূল শহরের অংশ ছিল না। ক্রমান্বয়ে মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক ও পর্যায়ক্রমে মিশ্র-আবাসিক এলাকায় পরিণত হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার শিশু লেখাপড়া করে। কিন্তু ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি (বিএটিবি) তামাক কারখানা থেকে নির্গত তামাকের রাসায়নিকের কারণে মহাখালী সহ আসেপাশের বাতাস দূষিত হচ্ছে, শিশুদের শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে। এজন্য আবাসিক এলাকা থেকে ক্ষতিকর সিগারেট কারখানা সরানো সময়ের দাবি। তামাক কারখানার মতো ক্ষতিকর একটি কারখানা কিভাবে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকায় এখনো কার্যক্রম পরিচালনা করছে, সেটা নিয়েও বক্তাগণ প্রশ্ন তোলেন। কিভাবে এই কারখানা পরিবেশ ছাড়পত্র বা অন্যান্য অনুমতি পায় তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বক্তাগণ।

 

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের উদ্যোগে এইড ফাউন্ডেশন, টিসিআরসি, ডাস, নাটাব, ধূমপান ও মাদক বিরোধী ফাউন্ডেশন, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি, মানস, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, প্রত্যাশা, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), পাবলিক হেলথ ল’ইয়ার নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যাডভোকেটস (বিটিসিএ), বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) এবং বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।