ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে অন্তত ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত: জাতিসংঘ ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে বিমানে ‘বোমা আতঙ্ক’ ছড়ান মা: র‍্যাব মিটফোর্ডে হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হবে: আসিফ নজরুল ডব্লিউএইচও থেকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে হাসিনা কন্যা: হেলথ পলিসি ওয়াচ আবারও ১০ দিন ভারী বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী জাহাজ ডুবিয়ে দিল হুথিরা, নিহত ৪ শাপলা না হলে ধানের শীষও রাজনৈতিক প্রতীক হতে পারবে না: সারজিস ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ আজ এসএসসির ফল প্রকাশ, যেভাবে দেখবেন ভারি বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি, ভূমিধসের আশঙ্কা

শেখ হাসিনা ও কামালকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০৪:৩৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / ৫৩০ বার পঠিত

জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে তাদের ঠিকানায় খুঁজে পায়নি পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে আগামী ২৪ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

 

আজ সোমবার (১৬ জুন) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১ এর বিচারিক প্যানেল এ নির্দেশ দেন।

 

আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার মামলায় শুনানির জন্য নির্ধারিত দিন ছিলো ট্রাইব্যুনালে। পাশাপাশি আজ ৩ জনকেই আদালতে হাজিরের আদেশ থাকলেও দু জন পলাতক থাকায় সকালে কেবল চৌধুরী মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

 

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শুনানিতে ট্রাইব্যুনালকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। তারা গ্রেফতার এড়াতে ভারতে পালিয়ে থাকতে পারেন। পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল পলাতক দুই আসামিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আগামী ২৪ জুন পরবর্তী শুনানের দিন ধার্য করেন।

 

এর আগে, গত ১ জুন তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের অভিযোগে বলা হয়েছে- ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ১৪শ ছাত্র-জনতাকে হত্যার দায় শেখ হাসিনার। তার নির্দেশ, উসকানি ও প্ররোচণায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ।

 

শেখ হাসিনার নির্দেশে আন্দোলন দমনে মরনঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করার প্রমাণ মিলেছে বলেও জানায় প্রসিকিউশন।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

শেখ হাসিনা ও কামালকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ

আপডেটঃ ০৪:৩৩:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে তাদের ঠিকানায় খুঁজে পায়নি পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে আগামী ২৪ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

 

আজ সোমবার (১৬ জুন) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১ এর বিচারিক প্যানেল এ নির্দেশ দেন।

 

আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার মামলায় শুনানির জন্য নির্ধারিত দিন ছিলো ট্রাইব্যুনালে। পাশাপাশি আজ ৩ জনকেই আদালতে হাজিরের আদেশ থাকলেও দু জন পলাতক থাকায় সকালে কেবল চৌধুরী মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

 

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শুনানিতে ট্রাইব্যুনালকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। তারা গ্রেফতার এড়াতে ভারতে পালিয়ে থাকতে পারেন। পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলের এ পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল পলাতক দুই আসামিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আগামী ২৪ জুন পরবর্তী শুনানের দিন ধার্য করেন।

 

এর আগে, গত ১ জুন তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের অভিযোগে বলা হয়েছে- ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ১৪শ ছাত্র-জনতাকে হত্যার দায় শেখ হাসিনার। তার নির্দেশ, উসকানি ও প্ররোচণায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ।

 

শেখ হাসিনার নির্দেশে আন্দোলন দমনে মরনঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করার প্রমাণ মিলেছে বলেও জানায় প্রসিকিউশন।