ঢাকা , সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে যেসব সিদ্ধান্ত কমিটির

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটঃ ০৭:২৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৯৩ বার পঠিত

সারা দেশে একযোগে শুরু হতে যাচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

 

বৃহস্পতিবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। এতে ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন শিক্ষার্থী। এবছর ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

 

এই পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত, প্রশ্নফাঁসের গুজবমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং এবং আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়েছে। রোববার বিকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

 

সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, দেশের সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, আইনশৃঙ্খলা এবং পরীক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

সভায় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, সেগুলো হলো:

 

পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রশ্নফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষ্যে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

 

কেন্দ্র সচিব ব্যতীত পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না।

 

কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

 

অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহন কাজে কালো কাঁচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এরূপ কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ প্রদান করা হবে।

 

ট্যাগ অফিসার ট্রেজারি, থানা হেফাজত থেকে কেন্দ্র সচিবসহ প্রশ্ন বের করে পুলিশ পাহারায় সব সেটের প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন।

 

পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট পূর্বে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট বিধি অনুযায়ী খুলবেন।

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে।

 

প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

 

পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে; এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সরবরাহের প্রয়োজন হলে আন্তঃবোর্ডের সমন্বয়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে সরবরাহ করতে হবে।

অর্থআদালতডটকম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।

error: Content is protected !!

এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে যেসব সিদ্ধান্ত কমিটির

আপডেটঃ ০৭:২৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪

সারা দেশে একযোগে শুরু হতে যাচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

 

বৃহস্পতিবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। এতে ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন শিক্ষার্থী। এবছর ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

 

এই পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত, প্রশ্নফাঁসের গুজবমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং এবং আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা হয়েছে। রোববার বিকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

 

সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, দেশের সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, আইনশৃঙ্খলা এবং পরীক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

সভায় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, সেগুলো হলো:

 

পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রশ্নফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষ্যে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

 

কেন্দ্র সচিব ব্যতীত পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না।

 

কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

 

অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহন কাজে কালো কাঁচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এরূপ কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ প্রদান করা হবে।

 

ট্যাগ অফিসার ট্রেজারি, থানা হেফাজত থেকে কেন্দ্র সচিবসহ প্রশ্ন বের করে পুলিশ পাহারায় সব সেটের প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন।

 

পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট পূর্বে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট বিধি অনুযায়ী খুলবেন।

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে।

 

প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

 

পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে; এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সরবরাহের প্রয়োজন হলে আন্তঃবোর্ডের সমন্বয়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে সরবরাহ করতে হবে।